অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


নির্বাচিত হলে প্রথম দিন থেকে মানুষের পাশে থাকতে চাই: আমীর খসরু


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে আগস্ট ২০২৫ বিকাল ০৩:৩৯

remove_red_eye

৫৬

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমি অনির্বাচিত সরকারের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। এটা একটি সাময়িক সরকার আমার কোনো প্রত্যাশা নেই।

আমরা অপেক্ষা করছি একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য। জনগণ আমাদের সমর্থন দিলে তার প্রস্তুতি আমরা আগেভাগে নিচ্ছি। যাতে প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারি।

 

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তিত হবে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের মনের কথাগুলো বলতে পারবে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি ও সরকার নির্বাচিত করতে পারবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা একটা গ্রামে একটা পণ্য তৈরি হবে, যে পণ্য ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে। পণ্যের নতুন নতুন ডিজাইন হবে এবং সেই পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে বিক্রি হবে। গ্রামগুলো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এটাই আমাদের মূল প্রোগ্রাম। আর এজন্য আমরা সব জায়গাতে যাচ্ছি, সবার সঙ্গে কথা বলছি, তাদের সমস্যা ও চাহিদা আগামীদিনে কীভাবে পূরণ করতে পারি তাও দেখছি।

তিনি বলেন, বিএনপি অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগে আমরা যাচ্ছি। অর্থনীতি আগে কিছু সীমিত লোকের হাতে ছিল,  কিছু গোষ্ঠীর হাতে ছিল। আমরা অর্থনীতিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। কুটির শিল্পসহ যারা বিভিন্ন অঞ্চলে হাতে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে, সেই পণ্যগুলোকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। এগুলো মূল্যায়ন করে টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে হবে, আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। এদের ব্র্যান্ডিং করতে হবে, ব্র্যান্ডিং করে দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাটফর্ম করে দিতে হবে। আমরা চাই অর্থনীতিতে এদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি হতে হবে এবং এ লোকগুলোর জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হতে হবে। এ লোকগুলোই যেন আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের যে সব হস্তশিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। সঙ্গে সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ বাড়িতে থেকে তার পণ্য তৈরি করে জীবনযাপন করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। আমরা এদের অর্থনীতির মূলস্রোতে ঢোকাতে চাই, ফলে এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।





আরও...