অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত-১৫


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০২৫ রাত ১০:১২

remove_red_eye

৭৬

চরফ্যাশন প্রতিনিধি :  ভোলার চরফ্যাসনে গাছের সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে গরীব ব্যাপারী বাড়িতে সানু বেপারী গং ও আবুল হাসনাথ বেপারী গং এর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, সবুজ (৩৫), রুহুল আমিন(৬০) তানজিম (১৪), কবির(৪০) বিলকিস (৫০), মোরশেদা (৩০), হাসনাইন, নজরুল, খালেদা,লিমা,লিপি,মিনারা,আবুল হাসনাথ, মমতাজ(৩৫), আপনান। আহতরা একই বাড়ির বাসিন্দা ও পরস্পর আত্মীয় স্বজন। পরে প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনেরা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করে। 
হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানাযায়, আহতদের মধ্যে সবুজ ও রুহুল আমিনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তারা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। 
স্থানীয়রা জানান, গরীব বেপারী বাড়িতে ১৮-২০ টির মতো ঘর রয়েছে। আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। আমরা চিৎকার, চেচামেচি শুনে গিয়ে দেখি  উভয় পক্ষের ২৫-৩০ জন মারামারিতে লিপ্ত, কেউ কেউ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে । প্রায় ২৫-৩০ মিনিট লেগেছে সংঘাত থামাতে। 
আহত সানু বেপারী পক্ষের রুহুল আমিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, বাড়িতে আবুল হাসনাথ পক্ষের বর্ষা আক্তার আমাদের গাছ থেকে সুপারি পাড়ে , এতে আমার দেবর কবির বাধা দিলে বর্ষার মা মমতাজ তর্কে জড়ায়, গালিগালাজ করে, এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের বাবু আমার দেবরের ছেলে তামিমকে মারধর করলে মারামারি শুরু হয়। 

একই বাড়ির মিনারা বেগম বলেন, সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে এত বড় সংঘাত কাম্য নয়। উভয় পক্ষই উত্তেজিত ছিলো, যা বড় সংঘর্ষে রূপ নেয়। চরফ্যাসন থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) বলেন,  উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি, পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।