অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


মাইটিভির চেয়ারম্যান ৫ দিনের রিমান্ডে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই আগস্ট ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০০

remove_red_eye

১২৯

‎‎জুলাই আন্দোলনে কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

‎ সোমবার ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এই রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।

 
 

‎মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

‎শুনানিতে রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন ও বাদী পক্ষে আইনজীবী মোছা. হাবিবা রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তারা বলেন, এ আসামি আওয়ামী, ছাত্রলীগের মত মিডিয়া সন্ত্রাস। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে যোগসাজসে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। তার সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করছি।'

‎আসামিপক্ষে আইনজীবী মোছা. ফারজানা আক্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন,'মামলার বাদী হলফনামা দিয়েছেন এ আসামিসহ তিনজনের নাম দেয়ার বিষয় তার নলেজে ছিলো না। তথ্যগত ভুলের কারণে নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এজাহারে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নাই। তিনি ছাত্র আন্দোলনের স্বপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থণা করছি।'

‎ শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়ে এজলাস ত্যাগ করেন।

‎এদিকে শুনানিকালে পুরোটা সময় নাসির উদ্দিন সাথীর স্ত্রী আসফিয়া উদ্দিন আদালতে বসে কাঁদতে থাকেন। তবে হাস্যোজ্জল ছিলেন নাসির উদ্দিন সাথী। তিনি স্ত্রীসহ অন্যদের সান্তনা দেন। পরে তাকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরআগে রোববার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

‎মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদু। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।





আরও...