অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেয়া ২ হাজার ১৪৫ জন গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ দেয়ার আশ্বাস


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০শে জুলাই ২০২৫ রাত ০৮:৩১

remove_red_eye

১৫৮

আমরা ভোলাবাসী সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ প্রতিবেদক : আস্বস্তপ্রাপ্তীর ভিত্তিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’ ব্যানার আপাতত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আন্দোলন স্থগিত রেখেছে।  মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান নেতারা। তবে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের নজরদারী চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়। 
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, আমরা ভোলার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,  আমরা ভোলাবাসীর নির্বাহী সদস্য জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. এনামুল হক, ভোলা জাতীয় পার্টির(বিজেপি) সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির  ভোলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলীয়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা(উত্তর)  শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও. তরিকুল ইসলাম,  ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন, আমরা ভোলাবাসীর সদস্য সচিব মীর মোশারেফ হোসেন অমি প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে যুগ্ম আহবায়ক বলেন, আপনারা জানেন, আমরা ভোলাবাসী ব্যানারে,  ভোলার গ্যাস ভোলায় চাই, ঘরে ঘরে গ্যাস চাই, ভোলা-বরিশাল সেতু চাই, ভোলার নদী ভাঙন প্রতিরোধসহ ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে আসছে। 
দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়  ভোলার মানুষসহ আন্দোলনকারীরা ভোলার গ্যাস ভোলার বাইরে নেওয়ার সময় চার দফায় গ্যাসবাহী গাড়ি আটকে দেয়, আবার নানা কারণে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। 
ভোলার মানুষের ৬দফা দাবি বাস্তবায়নের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন না দেখা যাওয়ায় ভোলার গ্যাস ভোলার বাইরে নিতে দেবে না মর্মে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অবস্থান নেয়। একই সঙ্গে  ‘আমরা ভোলাবাসী’ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে। কর্তাব্যক্তিরা আমাদের ৬দফা দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে দাবি বাস্তবায়নে অনেক আশ্বাস ও দাবি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আমাদের অন্যতম দাবি ভোলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও বিদ্যমান ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট  হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে আর কোনো মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হলে, সেটি প্রথমে ভোলাতেই প্রতিষ্ঠা হবে। আন্দোলন শুরুর আগে ভোলার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তার ছিল মাত্র ৮জন। আন্দোলনের পরে এখন আছে ২৮ জন। খুব শীঘ্রই আরো ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমাদের আরো একটি অন্যতম দাবি ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ। এটির কাজও অনেক দূর এগিয়েছে। সেতুর বাস্তবতা হচ্ছে-ফিজিবিলিটি পরীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন, নকশা প্রস্তুতসহ অনেক কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভোলাবাসিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ২০২৬ সালের আগস্টের মধ্যেই ব্রীজের কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।  রাইসুল আলম আরও বলেন,  আমাদের আরো একটি দাবি ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস চাই। গ্যাসভিত্তিক শিল্পকলকারখানা চাই। আমাদের এ দাবির প্রতি সরকার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। সমঝোতা বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- ভোলায় একটি বৃহৎ সার কারখানা স্থাপন করা হবে।  এর জন্য জমি দেখা হয়েছে।  
ভোলা জেলা প্রশাসক সর্বশেষ সোমবার এক বৈঠকে  ‘আমরা ভোলাবাসী’সদস্যদের নিশ্চিত করেছেন, ভোলায় সার কারখানা ও ইপিজেড গড়ে তোলার জন্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরাও আশাবাদি কাজ দ্রুতই শুরু হবে। আর ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাসের দাবির ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ২ হাজার ১৪৫জন গ্রাহক সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানীকে ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়েছে, তাদেরকে গ্যাস সংযোগ দেবে। এ ছাড়া ২০ হাজার গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। যা গ্রাহকরা ন্যায্যমূল্যে পাবে। 
’আমরা ভোলাবাসী’র নেতা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন,  ২মাসের মধ্যে গ্যাস সংযোগের আদেশ, গ্যাস সিলিন্ডার আনা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি না ঘটালে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ আন্দোলন কঠোর হবে।