অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগ


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ই জুলাই ২০২০ রাত ১০:২৩

remove_red_eye

৫৯৬



বিচারের দাবিতে মানববন্ধন



দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে কলেজ ছাত্রী ও গৃহবধূ রোকসানা বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায়  বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার খায়েরহাট হাসপাতালের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করেন তার স্বজন, সহপাঠী ও এলাকাবাসী। স্বজনদের দাবি রোকসানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রোকসানা বেগম উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের মেয়ে ও  ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত রোকসানা বেগমের পিতা আবুল কাশেম, চাচা এম এ তাহের ও তার সহপাঠীরা। এসময় তারা বলেন, যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিত ভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী রুবেল ও পরিবারের সদস্যরা রোকসানা বেগমকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সঠিক পুলিশি তদন্ত না হওয়ায় এ মামববন্ধন বলে আয়োজকরা জানান। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচীর মাধ্যমে এ ঘটনার মামলা গ্রহনসহ সঠিক পুলিশী তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত রুবেলসহ জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
নিহত রোকসানার স্বজনরা জানান, একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘিরপাড় বাড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে রুবেল রোকসানা বেগমকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে রোকসানা বেগম তার পরিবারের অজান্তে রুবেলকে গত ২০ নভেম্বর বিয়ে করে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে রুবেল বিভিন্ন সময় রোকসানা বেগমকে তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু রোকসানা পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করায় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে রুবেল তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন চালায়। গত ১০ জুন বুধবার বিকেলে শ^শুর বাড়িতে রোকসানা বেগমের রহস্যনজক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে স্বামী রুবেল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।