অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


জনগণের প্রতিরোধে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পিছু হটতে হয়েছিল: অধ্যাপক আলী রীয়াজ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ই জুলাই ২০২৫ বিকাল ০৫:১৭

remove_red_eye

৬৭

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার প্রতিরোধের মুখে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।

সোমবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের ত্রয়োদশ দিনের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই সংগ্রামী জুলাইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘চব্বিশের জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ফ্যাসিবাদবিরোধী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ১৪ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ সেটিকে নতুন মোড় দেয়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরাও মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে আসে। সকলের এই প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী শাসন ক্রমাগত পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়।

অধ্যাপক রীয়াজ জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিরি আরো বলেন, সেদিন নারীদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অপমানের বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলনকে আরো বেগবান করেছিল। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবেই রাজনীতি, রাষ্ট্র গঠন ও আইন প্রণয়নে নারীদের মর্যাদাপূর্ণ অংশগ্রহণের পথ তৈরি হবে।

আলোচনায় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছেন।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, সোমবারের আলোচনায় নারী প্রতিনিধিত্ব ও দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বিষয় দুটি প্রাধান্য পাবে।

আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।