অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় মেধাবী কলেজ ছাত্রী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭শে জুন ২০২৫ রাত ১০:১৩

remove_red_eye

২০৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মেধাবী  ছাত্রী ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতার মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা উল্লেখ করে বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকালে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। এর আগের দিন বরিশাল ও নারায়নগঞ্জেও ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন  চরনোয়াবাদ মুসলিম হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তাহের, পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি নেওয়াজ শরীফ, ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক মেহেদী হাসান , সংগঠক জুয়েল রানা, তানজিল হোসেন প্রমুখ । এ সময় বক্তারা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ১০ দিন হয়ে গেলেও ইস্পিতা হত্যার রহস্য পুলিশ উদঘাটন করতে পারে নি পুলিশ। তারা তিন দিনের মধ্যে ওই হত্যায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে রাস্তায় নামার ঘোষনা দেন। 

১৭ জুন সুকর্ণা বাড়ি থেকে বেড় হয়ে নিখোঁজ হন। ২০ জুন মরদেহ লক্ষ্মীপুর  জেলা সদরের মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নৌ পুলিশ উদ্ধার করে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে এমন ঘটনার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সুকর্ণার সহপাঠীরা জানান, ওই ছাত্রী স্বাধীনচেতা মনোভাবের মেয়েটিকে তারা এভাবে হারাবে ভাবতে পারছেন না। ইস্পিতা ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তার শিক্ষক অনুজ রায় বলেন,  সুকর্ণা ইস্পিতা মেধাবী ছাত্রী ছিল। পড়া লেখা শেষ করে  ভালো চাকুরি করবে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে এমন আশা ছিল। কেন ওই ছাত্রী এভাবে মৃত্যু হলো ? তা রহস্যময়। তাই সহস্যেও জট খোলার দায়িত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমনটাও জানান  সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তাহের।  কুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্টে শরীরে কালো চিহ্ন থাকার বিষয় উল্লেখ করেন। আর এ কারনেই নৌ পুলিশের ফাঁড়ি ইনচার্জ আজিজুল হক  হত্যা মামলা দায়েন করেন লক্ষ্মীপুর থানায়। ওই মামলারও তেমন কোন অগ্রগতি নেই বলে থানা সূত্র জানায়।