অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় উপজেলা দিবসে গুণীজন সংবর্ধনা ও উন্নয়ন মেলার উৎসবমুখর আয়োজন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে জুন ২০২৫ রাত ০৮:০৯

remove_red_eye

১৬১

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : উন্নয়ন মেলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিশিষ্ট গুণীজন সংবর্ধনা এবং পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ভোলায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে উপজেলা দিবস। আজ রোববার (২২ জুন, ২০২৫) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় সমৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) তাদের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভোলা সদর উপজেলার প্রবীণ, যুবক, কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল চারজন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশটিভির ভোলা প্রতিনিধি ছোটন সাহা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে মুনতাছির আলম চৌধুরী রবিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সংগীতশিল্পী মঞ্জুর আহমেদ এবং সামাজিক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য আজিজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। মানবিক চিকিৎসক হিসেবে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ডা. তায়েবুর রহমান।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তুষার কান্তি দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিজেইউএস-এর পরিচালক মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমৃদ্ধি কর্মসূচির ফোকাল পারসন আলমগীর হোসেন। বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক গোপাল চন্দ্র শীল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোলা রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শিহাব উদ্দিন।
জিজেইউএস ক্যাম্পাসে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় প্রবীণ, যুবক, কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের তৈরি নকশিকাঁথা, পিঠা, মৌসুমী ফল এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্যাম্প দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। মেলায় একটি স্টলে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প পরিচালিত হয়।
দিনের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীদের গান, নৃত্য ও অন্যান্য পরিবেশনা দর্শকদের আনন্দে মাতিয়ে রাখে। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা, যা তরুণ প্রতিভাদের উৎসাহিত করেছে।
এই উপজেলা দিবস ভোলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন। জিজেইউএস-এর এই উদ্যোগ স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি বহন করে।