অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিয়ের কনের জন্য আনা কাপড় পছন্দ না হওয়ায় হামলা বর সহ ১৫ জন আহত


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ই জুন ২০২৫ রাত ০৮:৪৬

remove_red_eye

৮৬

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় বিয়ের কানের জন্য আনা বর পক্ষের কাপড় পছন্দ না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা কথা কাটাকাটি সহ সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় বর সহ তার সঙ্গীদের পিটিয়ে মারধর করা হয়েছে। এতে বর মো. সজিব সহ ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর  ৬ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে বরের কাছে কনে তুলে দেয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভন্ডুল হয়ে গেছে । ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের সময় সদর উপজেলার ভেদুরয়িা ইউনিয়নের শেরে বাংলা এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনয়ের পূর্ব চরকালি গ্রামের মো. আবুর ছেলে মো. সজিবের সাথে শাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিপার সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয়। সজিব নারায়নগঞ্জে একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরী করেন। নতুন বউ তুলে আনতে বিয়ের শাড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ শুক্রবার দুপুরে পাশের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শেরে বাংলা গ্রামের শশুড় শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে যান। বর পক্ষের আনা কাপড় ও অন্যান্য প্রসাধনী কনে পক্ষের পছন্দ না হওয়ায় এ নিয়ে বর সজিবের বড় ভাইর সাথে বাকবিন্ডা হয়। এক পর্যায়ে  দুইপক্ষের লোকজন কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় কনে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বরসহ তার সঙ্গীদের মারধর করে বের করে দেয়। এতে আহত বর সজিব, জাহিদ, অন্তু, মো. সোহেল, ফাতেমা ও ময়না সহ ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর সজিব সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, কনে পক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা মারধর করে।  ঘটনার পর থেকে কনের বাবা শাহাবুদ্দিন সহ ওই বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন।  শাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। 
ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু শাহাদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন