অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার লঞ্চ ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০৮

remove_red_eye

১৪৯

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ঈদ শেষে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে কর্মস্থলে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। ইলিশা-লক্ষীপুর রুটের লঞ্চ ও সী ট্রাক গুলোতে দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। নৌ যানের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী হওয়াতে অনেকেই লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করতে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন।
এ রুটে ২টি লঞ্চ ও ৪টি সীট্রাক চলাচল করলেও বর্তমানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম । এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজের তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে উত্তাল মেঘনা পারি দিচ্ছে নিরুপায় সাধারন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ ভীড় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টারা। 

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ইলিশা লঞ্চ ঘাটে যে পরিমাণ যাত্রী রয়েছে লক্ষীপুর যাওয়ার জন্য সেই পরিমাণ লঞ্চ সি ট্রাক নেই। যা রয়েছে তা আবার সাইজে ছোট। ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে তারা পারাপার করেছে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।তাই যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে বড় লঞ্চ প্রয়োজন। লঞ্চ না পেয়ে অসংখ্য যাত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে তীব্র গরমে ঘাটে পরবর্তী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করে।এদিকে করোনা সংক্রামন রোধে যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য সর্তক করা হলেও অধিকাংশ যাত্রী তা ব্যবহার করেনি।

বিআইডব্লিউটিএর ট্রফিক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান,ভোলার ইলিশা-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ১১ টি লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া ইলিশা লক্ষীপুর রুটে ২টি ও ৪টি সি ট্রাক চলাচল করছে।  অবৈধ ভাবে মেঘনা নদীতে যাত্রী পারাপার করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ পর্যন্ত  ৪ টা স্পিড ও ১ ট্রলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও করেনা সংক্রামন রোধে মাস্ক ব্যবহারে যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।