অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় কেরামবোট খেলাকে কেন্দ্র করে হামলা সংঘাত ও কুপিয়ে জখম নিহত-১, নারীসহ আহত-৭


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:০১

remove_red_eye

১৯৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলায় কেরামবোট খেলাকে কেন্দ্র করে  হামলা, সংঘাত ও কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নারীসহ অন্তত ৭ /৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. ইসমাঈল(২২)চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে । সংর্ষষ হামলার এ ঘটনা ঘটে ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকায়। 
নিহতের স্বজন, স্থানীয়রা জানান,  ভোলার রাজাপুর ইউনয়নের শ্যামপুর গ্রামের ঘোলপাড় এলাকায় মঙ্গলবার  দুপুর ৩টার দিকে নিহত ইসমাইল, তার ভাই মো. ইব্রাহীম তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে কেরামবোট খেলছিল। এমন সময় পার্শবর্তী বজলু জমাদ্দারের প্রতিবন্ধী মেয়ে রুমা আক্তার(৩০)এসে কেরামবোটের গুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়। এ কারণে তারা রুমাকে চড়-থাপ্পর মেরে সরিয়ে দেয়। সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে গেলে রুমার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়। রুমার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম, সবুজ, সাগরসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসে ইসমাঈলসহ তাঁর পরিবারের নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৭-৮জনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের কে গুরুতর অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ইসমাঈল, তার বোন খাদিজা বেগম ও বিথী ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মধ্যে ইসমাঈল চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে  মারা যায়। 
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, কেরামবোট খেলাকে কেন্দ্র করে মো. ইসমাঈল এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাদীপক্ষ নিহতের চাচা মো. অলিউল্লাহ ৮-৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।  প্রথমে হামলা-সংঘর্ষের মামলা করলেও পরে নিহতের ঘটনা যুক্ত হবে। এ ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।