অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় গ্রাহকের ৫শ বড়ি স্বর্ন ও নগদ টাকা নিয়ে উধাও জুয়েলার্স ব্যবসায়ী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা জুন ২০২৫ রাত ০৮:০৪

remove_red_eye

১৮৫

গ্রাহকের বিক্ষোভমানববন্ধন সড়কঅবরোধ

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার ইলিশায় গ্রাহকের ৫ শ বড়ি স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। এতে কয়েক শতাধিক জুয়েলারী দোকানের গ্ৰাহক চরম বিপাকে পড়েছেন। ভুক্তভোগী টাকা ও স্বর্ন ফিরে পাবার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ  কর্মসূচী পালন করেন । 
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রতারনার স্বীকার কয়েক শ গ্রাহক টাকা ও স্বর্ন ফিরত পাওয়ার দাবিতে ইলিশা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে ভোলা- চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় তারা ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা জংশন বাজারের সুইটি জুয়েলার্সের মালিক সোহাগ বালাকে দ্রুত গ্রেফতার করে স্বর্ন ও টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। 

ভুক্তভোগীরা জানান,গত ২০ মে ইলিশা বাজারের জুয়েলারী ব্যাবসায়ী সোহাগ ৫শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ন ও জমা রাখা নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে গ্রাহকরা তার দোকানে ও বাড়িতে খুঁজলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। 
স্বর্ন ব্যবসায়ী সোহাগ বালার প্রতারনার স্বীকার ফল ব্যবসায়ী মনির জানান,আমি ৩ ভরি স্বর্নের গহনা জমা রেখে ব্যবসার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়েছি। ব্যবসা করে সেই টাকা ফিরত দিয়েছি। কিন্তু আমার জমা রাখা স্বর্নের গহনা দেই দিচ্ছি করে দেইনি। এখন আমার স্বর্নের গহনা  নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি আমার গহনা ফিরত চাই। 
ইলিশা ৪ নং ওয়ার্ডের নাজমা বেগম বলেন, মেয়ের বিয়ে জন্য ৭ ভরি স্বর্নের গহনা তৈরি করে লকারে জমা রাখছে । ঈদের পরে মেয়ের বিয়ে এখন আমি এতোগুলা স্বর্ন কই পামু। এখন তো মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অবস্থা হইছে। শুধু মনির আর নাজমা নয় এরকম ইলিশা এলাকায় কয়েকশ মানুষের জমা রাখা টাকা থেকে শুরু করে স্বর্নের গহনা নিয়ে পালিয়ে যায় সোহাগ বালা। 
স্থানীয় মৎস ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা যারা নদীতে মৎস ব্যববসা করি তাদের কাছে ও ছিলো ব্যাংকের মতো। দেখা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার হলে অনেকেই ওর কাছে টাকা জমা রাখতো ওর লকার থাকার কারনে। শুক্রবার কিংবা শনিবার হলে টাকা নিতে পারতো। কিন্তু এই বিশ্বাস কে পুঁজি করে সাধারন রিকশাআওলা থেকে শুরু জেলে, ব্যববাসীয় থেকে শুরু করে স্বর্ন দোকানের গ্রাহক সবইকে টাকা নিয়ে সোহাগ পালিয়ে গেছে। 


এমনকি কেউ পুত্রবধূর, কেউ বোনের বা ভাবির অলংকার না জানিয়ে বন্ধক রেখেছেন। সেই স্বর্ণসহ অসংখ্য মানুষের প্রায় ১০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে সোহাগ। এতে করে অনেক মহিলার সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে বলে জানান। 
ভোলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দী সাংবাদিকদের জানান. সোহাগের খবরটি আমি শুনেছি। সোহাগ আমাদের সংগঠনের সদস্য নয় তবুও যেহেতু স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার জন্য এ ঘটনা দুঃখজনক। আমাদের দীর্ঘ বছরের সুনাম কে এ ধরনের কিছু অসাধু চক্রের জন্য বদনাম হচ্ছে। আমি প্রশাসন কে বলবো সোহাগ কে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগীদের স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য।
ভোলা থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো.হাচনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা জংশন বাজারের সুইটি জুয়েলার্সের মালিক সোহাগ বালার বিরুদ্ধে গ্রাহকের স্বর্ন,অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি ।অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।