অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা স্মার্ট ফার্মিং হেলদি ফুড প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা জুন ২০২৫ সকাল ১০:২৫

remove_red_eye

১৪২

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় “স্মার্ট ফার্মিং হেলদি ফুড” প্রকল্পের আওতায় “অংশীজনদের নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা”  অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১ জুন)  সকালে গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার কনফারেন্স রুমে  এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার এর আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ভোলা এর উপ-পরিচালকমোঃ খায়রুল ইসলাম মল্লিক। এসময় বিশেষ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ভোলার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. শামীম আহমেদ,ভোলা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কামরুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ভোলা এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো: আবিদ হাসান,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ভোলা এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ রাশিদুল হাসান অনিক প্রমুখ। 

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন-এনজিও প্রতিনিধি গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা তাইজুল ইসলাম , (ওউঊ),বাংলাদেশ আঙ্কুর  নাহার বিউটি,( রঋধৎসবধ)মোঃ সহিদুর ইসলাম সহ ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার টেকনিক্যাল ম্যানেজার ইমাদ মোস্তফা, টেকনিক্যাল ফিল্ড সুপারভাইজার মঞ্জুরুল ইসলাম রকিব,  মিডিয়া ও কনটেন্ট সমন্বয়ক মোঃ এরফানুল হক,ফিল্ড ফাইন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন অফিসার ইয়াসমিনুন রহমান জিম,টেকনিক্যাল ফিল্ড অফিসার মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মিল্টন চাকমা, সনিয়া আক্তার,এম ডি ওসজল তরফদার।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে সফল প্রধান কৃষক, সিএফএফ, সবজি পাইকারী ক্রেতা, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার এবং ইস্ট ওয়েস্ট সীড ও  ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফারের প্রতিনিধিরা সহ মোট ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফারের (ঊডঝ-কঞ) পক্ষ থেকে ইমাদ মোস্তফা, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, অংশ্রগ্রহণকারী সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি উপস্থিত অতিথিদের “স্মার্ট ফার্মিং হেলদি ফুড” প্রকল্পে ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফারের ভূমিকা, প্রকল্পের সারসংক্ষেপ, এবং প্রকল্পে ব্যবহৃত জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তিগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এছাড়াও, প্রকল্পের সময়কালে ভোলা জেলায় কী সাফল্য অর্জিত হয়েছে, আগামী দিনের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। 

 

এসময় প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভোলা এর উপ-পরিচালক  খাইরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো, ইস্ট ওয়েস্ট সীড বাংলাদেশে সবজির বীজের বাজারে বেশ সুনামের সাথে ব্যবসা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার কৃষকদের মাঝে জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

বিশেষ অতিথি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ভোলার  জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. শামীম আহমেদ বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে যে কৃষি প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার শুরু হয়েছে তা সরাসরি নেদারল্যান্ডস এর ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে তৈরি। কৃষকদের মাঝে এখন সর্জন, লিফপটে চারা উৎপাদন, রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার এবং ভার্মিকম্পোস্টের ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহার দারুণ ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে কৃষিভিত্তিক শিল্প হতে পারে ভোলার একটি সম্ভাবনাময় খাত। 

ভোলা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কামরুল হাসান,প্রকল্পের এই পর্যায়ে এসে, উন্নত নার্সারীতে চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে উঁচু মাচা,  মালচিং, সর্জন ইত্যাদি কৃষি প্রযুক্তির বিষয়ে কৃষকদের জ্ঞান সত্যিই প্রশংসনীয়। এর ধারা সাধারন কৃষকরা অনেক উপকৃত হচ্ছে বলে জানান। 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ভোলা এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ রাশিদুল হাসান অনিক বলেন,প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ যেমন কমছে, তেমনি খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে, যা আগামীদিনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এই কর্মশালায় আলোচিত প্রযুক্তিগুলোর পাশাপাশি সারা দেশে কৃষকরা যাতে সার ও কীটনাশকের দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারেন তা নিয়ে আরো সচেতনতা তৈরী করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (ইঅউঈ)

সিনিয়র সহাকারী পরিচালক মোঃ আবিদ হাসান বলেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে কিভাবে ফলন বাড়ানো যায় তা নিয়ে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে কাজ করছে ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কৃষকরা তাদের নিজের উৎপাদিত বরবটি (সামারফিল্ড), মরিচ (রেড হট), মিষ্টি কুমড়া (দরদী, বেহুলা), করলা (পালি প্লাস, পাশা), ঢেঁড়স (সুন্দর, এক্সপ্রেস), ধুন্দল (নিলম) ইত্যাদি ফসলের প্রদর্শনী করেন।

 

কৃষকদের মধ্য থেকে মো: বাবুল মিয়া, মোঃ সোলাইমান এবং মোঃ নুরুল ইসলাম আধুনিক কৃষি নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, এই প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কিভাবে তাদের সাহায্য করেছে এবং জীবিকা ও উপার্জনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে তা তুলে ধরেন।

ঊডঝকঞ টেকনিক্যাল ম্যানেজার ইমাদ মোস্তফা বলেন, কৃষকদের সফলতার গল্পগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। 

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ভোলার  জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. শামীম আহমেদ বলেন,  এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে যে কৃষি প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার শুরু হয়েছে তা সরাসরি নেদারল্যান্ডস এর ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে তৈরি। কৃষকদের মাঝে এখন সর্জন, লিফপটে চারা উৎপাদন, রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার এবং ভার্মিকম্পোস্টের ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহার দারুণ ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে কৃষিভিত্তিক শিল্প হতে পারে ভোলার একটি সম্ভাবনাময় খাত। 

কর্মশালায় কৃষক - ২০ জন,  বীজ ও কীটনাশক ডিলার ও রিটেলার, সবজি বিক্রেতা,ও  উপ সহকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।