অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫ | ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


ভোলায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ১০ টি ফ্যান চুরি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪

remove_red_eye

১১

এইচ আর সুমন : ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ২২নং টবগী চর ছিফলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের সিলিং ফ্যান রাতের আধারে খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, নৈশ প্রহরী থাকা সত্ত্বেও গত মাসের ২৭ তারিখ বিকাল ৫ টায় প্রতিদিনের মতো ক্লাস রুম বন্ধ করে বাসায় চলে যায়, সকল শিক্ষক শিক্ষিকা। এরপর পরদিন ২৮ তারিখ সকালে ৮.৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা প্রবেশ করার সাথে সাথে অফিস সহকারী জানায় বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ক্লাস রুম থেকে মোট ১০ টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। এমন সংবাদে বিস্মিত হয়ে পরেন শিক্ষক শিক্ষিকা। 
তাহলে কি নৈশ প্রহরী আনোয়ারের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই বিদ্যালয়ের সিলিং ফ্যান গুলো চুরি হয়েছে। ঘটনায় নৈশ প্রহরী আনোয়ার কি বলেন,রাত ১টা পর্যন্ত আমি সজাগ ছিলাম তারপর আমি ঘুমিয়ে গেছি, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি এই ভবন থেকে যখন ওই ভবনে গিয়ে ক্লাস টু এর উপরের দিকে চেয়ে দেখি দেখি ফ্যান নেই, তারপর উপরের ভবনে উঠছি গিয়ে দেখি সেখানেও ফ্যান নাই, তারপর আমি যখন চেয়ে দেখি আমাদের ওয়াশরুমের একটা ভেন্টিলিটার আছে ওখানে আমাদের গ্রিল দেওয়া আছে গ্রিল ভেঙ্গে ফ্যান চুরি করে নেয় এর আগেও ৫টি ফ্যান ও একটি মটর চুরি করে নিয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শেলিনা বেগম বলেন, ফ্যান চুরির ঘটনায় স্থানীয় লোকজন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ২৪/৪/২৫ইঃ তারিখে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি ।ডায়েরি নং ৯৩৭/২৫ ও ভোলা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি অবহিত করেছি। 
এমন ঘটনায় স্থানীয় লোকজনদের মাঝে আলোচনা সমালোচনা ঝর বইছে, তারা বলছেন বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার সার্থে নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার পরও কেনো চুরির ঘটনা ঘটে। অনেকেই বলছেন রাতের বেলা বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী আনোয়ার অনুপস্থিত থাকেন। যার কারণে ফ্যান চুরির মতো ঘটনা ঘটে। এর আগেও একাধিক বার বিদ্যালয়ের পানির পাম্প ও ফ্যান চুরি হয়েছিলো