বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ভাংচুর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ
বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক: ভোলার বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন আবারও অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে ভোলার সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় যানজটে আটকে পড়াকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি, সংঘর্ষ হয়েছে। সাড়ে ৫টার দিকে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট ডাকে।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির দাবি- বাংলাবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা ধর্মঘট ডাকাসহ কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি- সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা পাঁচ স্থানে বাস শ্রমিকদের মারধর ও দুটি বাস বাংচুর করেছে।
ভোলার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে দুই পক্ষই মারমুখী।
গত ২৭ এপ্রিল সর্বশেষ বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ভোলার ৫রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮এপ্রিল ভোলার প্রশাসন দুই পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করিয়ে দিলে শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট তুলে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, বাস শ্রমিক ও অটোরিকশা চালকরা জানান, রোববার বিকাল পাঁচটার দিকে ভোলার বাংলাবাজার সেতুর আগে, দৌলতখান জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন আন্তমহাসড়কের ওপর বিশাল যানজট বাঁধে।
স্থানীয়রা জানায়, বাংলাবাজার এলাকায় সড়কের ওপর ব্যাটারি চালিত ও সিএনজি অটোরিকশা রাখার কারণে যানজট লেগেই থাকে। এ কারণে একটি বাস-ট্রাক গেলেও আধঘন্টা সময় লাগে। রোববার বিকালে বিশাল যানজট লেগে গেলে সকলে জটে আটকে যায়। এই যানজটে বাস আটকে পড়লে বাসচালকরা সিএনজি চালকদের দোষারোফ করলে বাস শ্রমিক ও অটোরিকশা চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বাস শ্রমিকরা ভোলায় এসে বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অনিদিষ্টি কালের জন্য ধর্মঘট ডাকে। পরে বাস শ্রমিকরা ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্টান্ড এলাকায় ভোলা-চরফ্যাশন আন্তমহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে ভাংচুর চালায়। বাস বন্ধ হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অটোরিকশায় যাত্রী টানা শুরু করলে তখন বাস শ্রমিকরা কয়েকটি অটোরিকশা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ৫টি স্পটে সিএনজি চালকরা বাস শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে। এবং দুটি বাস ভাংচুর করেছে। এ কারণে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছে।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাস শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকার পরে তাদের যাত্রী টানা বন্ধ করার জন্য বাসস্টান্ডের মধ্যে ৪টি সিএনজি নিয়ে ৩টি ভাংচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। একটি সিএনজিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরে ক্ষুব্ধ চালকরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখে। কিন্তু ভাংচুর করেনি।