অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় জেলে পরিবারগুলোকে কিস্তি দিতে বাধ্য করছে এনজিওগুলো


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই অক্টোবর ২০১৯ রাত ১১:০৪

remove_red_eye

৭৫১

আকতারুল ইসলাম আকাশ : প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করতে গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদী-সাগরে ইলিশ আহরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ ঘোষণা অনুযায়ী ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না জেলেরা। অনেক জেলে পরিবার ইলিশ আহরণের আগে জাল, নৌকা তৈরি ও মেরামত করার জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। নদী ও সাগরে মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করার কথা থাকলেও কিস্তি দিতে বাধ্য করছে এনজিওগুলো। এমন অভিযোগ জেলেদের।

স্থানীয় জেলেরা জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মেঘনার জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছেন না। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। তবে অভিযোগ আছে প্রকৃত জেলে পরিবার হওয়া সত্তে¡ও এ সুবিধা থেকে অনেক পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। তার ওপর অনেক জেলে পরিবার ইলিশ আহরণের আগে জাল, নৌকা তৈরি ও মেরামত করার জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছে।

মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু অবরোধের ২২ দিন জেলেরা মাছ ধরতে না পেরে বেকার অবস্থায় থাকেন। এ সময় এনজিওগুলো তাদের দেওয়া ঋণের কিস্তি আদায় করতে জেলে পরিবারগুলোকে বাধ্য করে। পূর্ব ইলিশার সোনাডুগি গ্রামের জেলে মো: গিয়াস উদ্দিন,মো: রফিক মাঝি,নুরইসলাম অভিযোগ করেন, আশা,ব্রাক,হিড বাংলাদেশ পদক্ষেপসহ বিভিন্নœ এনজিও তাদের কাছে ঋনের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এ কারণে অনেক জেলে গোপনে প্রভাবশালীদের সহায়তায় নদীতে মাছ শিকার করতে নামেন।

তবে জেলেদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইলিশা জংশন আশা ব্রাঞ্জের সহকারী ম্যানেজার মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, কোন জেলেকেই কিস্তির জন্য বাধ্য করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের থেকে কিস্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোন জেলে পরিবার থেকে নয়। তবে কোন জেলে যদি সেচ্ছায় কিস্তি দিতে চায় , তাহলে তা নেওয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, জেলে পরিবারকে যে এনজিও ঋণ দিয়েছে তা নিষেধাজ্ঞার সময় কিস্তি না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারপরও যদি কোন এনজিও সংস্থা জেলেদের কিস্তি দিতে বাধ্য করে তাহলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রজনন মৌসুমের সময়টিতে উপজেলা প্রতিটি তালিকাভুক্ত জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।