অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে মারধর বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭

remove_red_eye

৪৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় চাঁদার দাবিতে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও ব্যবসায়ীকে মারধর কারার অভিযোগ স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে।

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হাওলাদার বাজার এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, লাট বাড়ির কয়েকজন লোক লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে হাওলাদার বাজারের ব্যবসায়ী নাসির বাঘার কাছে টাকা চায়। নাসির বাঘা টাকা দিতে রাজি না হলে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে নাসির বাঘা ও তার বাতিজা ইয়ামিনকে বেধড়ক মারধর করে এবং তারা দৌড়ে গিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নিলে বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুট করে দুর্বৃত্তরা। 

এতে নাসির বাঘার ও ইয়ামিন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ব্যবসায়ী নাসির বাঘা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই লাট গ্রুপ আমার কাছ থেকে নানাভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবারে আমার ভাতিজার কাছ থেকে চাঁদা চায়। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গেলে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় লাট গ্রুপের ২৫ থেকে ৩০ জন লোক আমার এবং আমার ভাতিজার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা পালিয়ে বাড়িতে আসলে আমাদের বাড়িতে এসেও হামলা করে এবং আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। ওদের ভয়ে এখন আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।

ইয়ামিন বলেন, লাট বাহিনীর সাগর, জুয়েল, পলাশসহ আরো বেশ কয়েকজন লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমার কাছ থেকে টাকা চায়। টাকা না দিতে পারায় আমার উপরে তারা মারধর শুরু করে। আমি ফোন করে আমার চাচাকে জানালে আমার মোবাইল ফোনটিও তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মারধর করার এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। 

সিয়াম বাঘা বলেন, লাট গ্রুপ যে চাঁদার জন্য শুধু  আমাদেরকেই মারধর করেছে তা নয়। ওরা এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আরও অনেক ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে ওদের কঠোর বিচার করা হোক। 

এলাকাবাসী মো: ইউসুফ বলেন, নাসির বাঘা অত্যন্ত একজন ভালো মানুষ। এই এলাকায় বাড়ি করার পরে বিগত কোনদিন কারো সাথে নাসির বাঘের সাথে কোন ঝগড়া বা অন্য কোন অশোভন আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু এই লাট গ্রুপ সব সময়ই নানা ধরনের অপকর্মে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার তারা জেলও খেটেছে। এখনো তাদের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা এলাকাবাসী স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছি না। 

তবে লাট বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে থাকা মহিলারা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন বাড়িতে এখন কোন পুরুষ নেই।

এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন অপরাধী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।