অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


প্রতিবন্ধী অনার্স পড়ুয়া তারেকের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বোরহানউদ্দিনের ইউএনও


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ই এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৯:৫৩

remove_red_eye

১৪১

মোঃ মহিউদ্দিন আজিম, বোরহানউদ্দিন থেকে : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গংগাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর বয়াতির ছেলে মোঃ তারেক।

চার ভাই বোনের মধ্যে তারেক তৃতীয়। জন্মের পর থেকেই সে প্রতিবন্ধী তা অনুভব করতে না পারলেও বয়সের ভারে সে প্রতিবন্ধী ছেলে হিসেবে প্রতীয়মান হয় মা-বাবার  কাছে।
তারেকের বাবা জাহাঙ্গীর একজন দিনমজুর। ব্যাটারী চালিত বোরাক চালক।
দিন দিন ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে  হাফিয়ে  উঠলেও  হাল ছেড়ে দেননি জাহাঙ্গীর।
নিজের পরিশ্রমের সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলের লেখাপড়া ব্যয়ও চালিয়ে গেছে জাহাঙ্গীর।
ধীরে ধীরে তারেক বড় হয়,লেখাপড়া করে ছেলে বড় হবে এই আশায় বুক বাঁধে বাবা-মা।
আজ তারেক অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছে, বাবা-মা আর পারছেনা তার শিক্ষা ব্যয় চালাতে।
ইতিমধ্যে তারেক এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত হয় এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৪২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এইচএসসি পাস করেই ঘুরছেন বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির খোঁজে। কিন্তু চাকুরী তো চাইলেই পাওয়া যায় না---। এরই মধ্যে কম্পিউটারের উপর ৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন।

তারেক জানান, আমি একটি চাকুরির পেলে আমি আমার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারতাম। আমি কারও কাছে দানের জন্য হাত পাতি না। আমি কাজ করে আমার বাবা-মার জন্য কিছু করতে চাই। আমি সারা জীবন তাদের বোঝা হয়ে বাঁচতে পারব না।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান উজ্জামান মহোদয়ের কাছেও গিয়েছিলাম, তিনি আমার বায়োডাটা দেখেন এবং  আমার সাথে কথা বলে, কিন্তু স্যারের কাছে কোন কাজ না থাকায় আমাকে একটি কালার প্রিন্টার দিয়ে সহযোগিতা করেছে-- এজন্য আমি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।