বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ভাংচুর লুটপাট ও এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৫জন কে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (১০ই এপ্রিল) ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভেদুরিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ম আনোয়ার হোসেন ও শাহানাজ দম্পতির বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ঘাট সংলগ্ম শাহানাজ বেগমের মরিয়ম (১৫) নামের মানসিক সমস্যাগ্রস্ত একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই মরিয়ম রাস্তায় বের হলে প্রতিবেশি বখাটে যুবক রুবেলসহ কয়েকজনে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে, এ সময় মরিয়ম তাদের জুতাপেটা করবেন বলায়, রুবেলসহ তার সঙ্গীরা মরিয়মকে মারধর করার চেষ্টা করেন। এতে মরিয়ম বিষয়টি তার মাকে জানালে তার মা বাড়ী থেকে বের হয়ে রুবেল কে ঘটনাটি জিজ্ঞেস করলে রুবেল উত্তেজিত হয়ে তার মা শাহানাজ কে আঘাত করেন। মাকে আঘাত করা দেখে মরিয়মের অন্তঃসত্ত্বা বোন লামিয়া দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে বাড়ীতে নেওয়ার চেষ্টা করলে পিছন থেকে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে ও আঘাত করেন রুবেল বাহিনী।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহানাজ বেগম তার সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে চলে যায়।
মা-বোন কে আঘাতের কথা শুনে শাহানাজ বেগমের ছেলে রাসেল ফেরিঘাট থেকে দৌড়ে বাড়ী যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখানে তাকেও চড় থাপ্পড় মারেন রুবেল বাহিনীর সদস্যরা।
বিষয়টি প্রতিবেশিরা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করলে অসহায় শাহানাজের পরিবার বাড়ীতে চলে যায় এবং চুপচাপ থাকেন।
হঠাৎ করে রাত আনুমানিক পোনে ১২টার দিকে রুবেল, সিদ্দিক উস্তা, ইসমাইল, শাহাবুদ্দিন, শরীফ, রফিক হাওলাদার, সালাউদ্দিন গংদের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে হঠাৎ শাহানাজের বাড়ী ঘেরাও করে ভাংচুর, লুটপাট শুরু করেন। বাঁধা দেওয়ায় শাহানাজ, মরিয়ম, নাঈম হাওলাদার ও লিটন হাওলাদারসহ ৫জন কে পিটিয়ে জখম করে আটকে রাখেন। ৯৯৯ এ ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পরও আহতদের কয়েক দফায় দফায় হুমকি দিয়েছে যাচ্ছে হামলাকারীরা।
অভিযোগ রয়েছে রুবেল গংরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে বা প্রতিবাদ করলে শাহানাজ বেগমের পরিবারের মত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল, সিদ্দিক উস্তাসহ অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি তবে তাদের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা আলাউদ্দিন এসে বলেন এটা আমাদের ব্যাপার, তারা আমাদের লোক, আগে আওয়ামীলীগ করলেও এখন বিএনপির সাথে চলাফেরা করে তাই আমরা এটা দেখবো।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পেশ করা সম্ভব না হলো না। তবে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুবীর শাহা বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমার দুইজন এএসআই আনোয়ার ও লিমন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন।