অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানের মেঘনায় নিষিদ্ধ খুঁটিজাল অপসারণ নিয়ে সংর্ঘষ উত্তেজনা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে জুন ২০২০ রাত ০১:৩১

remove_red_eye

৮৩৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক:: ভোলার দৌলতখান উপজেলার  মেঘনা নদীর ৪ কিলোমিটার জুড়ে খুটে গেড়ে নিষিদ্ধ  খুচচি .  ও  বেড় জাল অপসারনে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় কয়েক হাজার জেলে । তারা শতাধিক নৌকা ও ট্রলার নিয়ে  বিক্ষোভ করে ওই জাল অসারণ করে। শুক্রবার বিকালে ওই জাল অপসরাণকালে উভয় গ্রপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। এই সব ঘটনায় শনিবারও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদিকে জেলেদের পক্ষে অবস্থান নেন ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু ও জালপাতা গ্রুপের পক্ষে ছিলেন পৌর কাউন্সিলর জোবায়ের হোসেন জাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন। জাকিরের সেল্টারে ছিলেন হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান টিপু ।

ইউপি চেয়ারম্যান টিপু জানেন, তার কোন মাছের ব্যবসা নেই। তিনি জাল পাতা এসব বিষয়ে জড়িত নন। তবে নদীতে একটি গ্রুপ নিষিদ্ধ জাল ফেলেছে। প্রশাসন অভিযান করবেন বলে  শুনেছেন ।   দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীতেন্দ্র নাথ জানান, সৈয়দপুর, হাজিপুর ও ভবানীপুর সমানায় মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ ওই জাল দিয়ে ছোট বড় সব ধরনের মাছ বিনষ্ট করা হচ্ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এরা নদীতে খুটি গেড়ে বেড় দিয়ে মাছ ধরে। এতে সাধারন জেলেরা জাল ফেলতে পারে না। এমন অভিযোগে শুক্রবার মৎস্য কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান চালনা করা সম্ভব হয় নি। তবে শুনেছেন জেলেরা শতাধিক নৌকা ট্রলার নিয়ে ওই সব নিষিদ্ধ জাল অপসারণ করে। জালের মালিক জাকির হোসেনের ভাই চৌকিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল হাই জানান,  জাকিরের জাল নিয়ে কিছু জেলে খুটি গেড়ে ওই জাল ফেলে। অপরএকটি গ্রুপ সুযোগ না পেয়ে ওই জাল কেটে তুলে নিয়ে যায়। এতে জাকিরের ২৫ লাখ টাকার জাল নস্ট হয়েছে।  কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এর পেছনে ছিলেন ইউপি চেয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম নবী নবু । তবে নবু জানান,  জেলেরা একজোট হয়ে অবৈধ ও নিষিদ্ধ জাল তুলে ফেলেছে।