অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫ | ১২ই চৈত্র ১৪৩১


আজ পবিত্র শবে বরাত


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ০২:৪৫

remove_red_eye

৬০

পবিত্র শবে বরাত আজ। পাপ থেকে সর্বান্তকরণে ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলমানদের নিষ্কৃতি লাভের অপার সৌভাগ্যের রাত। যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

এই রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে মুসলিম সম্প্রদায় নফল নামাজ আদায় ও কুরআন তেলাওয়াত, ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়ায় মশগুল থাকেন। শবেবরাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামে অভিহিত করেছেন অনেকে। ‘শব’ শব্দটি ফারসি, অর্থ রাত। আর  ‘বারায়াত’ শব্দের অর্থ হলো—নাজাত, নিষ্কৃতি বা মুক্তি। শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, জিকির-আসকারের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। শবেবরাত উপলক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার সরকারি ছুটি। সংবাদপত্রও আজ বন্ধ থাকবে। এ রাতের তাত্পর্য তুলে ধরে রেডিও-টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। সংবাদপত্র প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শবে বরাত পালন নিয়ে আলেম উলামাদের মধ্যে মতভেদ বিদ্যমান। শবে বরাতের ইতিহাস সম্পর্কে ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের পর ৪০০ বছরের মধ্যে শবেবরাত বলে কিছু ছিল না। অবশ্য শবে বরাতের বরকত, ফজিলত ও মর্যাদা নিয়ে বেশকিছু হাদিসের বর্ণনা আছে। শবে বরাতের নামাজ ও এবাদতের প্রথম প্রচলন হয় হিজরি ৪৪৮ সনে। তুরস্ক, ইরান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো কোনো দেশের কোনো কোনো এলাকায় শবে বরাত ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও শবে বরাতের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে ইরানে শবে বরাত পালন করা হয় মহাধুমধামে। জানা গেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে তিনি এ মাসকে পালন করতেন।