অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৫শে মাঘ ১৪৩১


জনগণের কাছে জবাব দিলেন বোরহানউদ্দিনের এসিল্যান্ড


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকাল ০৩:০০

remove_red_eye

৩৩

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ঘুষ, দুর্ণীতি ও হয়রাণীমুক্ত সেবা প্রদান, সেবা প্রার্থীগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমি সেবা পেতে বিলম্ব বা সমস্যার সমাধানে এখন থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভূমি অফিস, অন স্পট সমাধান’ সেবা চালু করছেন। এ সেবার নাম দিয়েছেন “জনগণের কাছে এসিল্যান্ডের জবাব”। বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দেড় শতাধিক কেইসের শুনানী করে সেবা প্রদান করা হয়। ১ দিনে আবেদন করিয়ে দিয়ে নামজারি মন্জুর হয়।
“সাপ্তাহিক বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মেহেদী হাসান তাঁর কার্যালয়ের ২য় তলার বর্ধিত অংশে ছাউনি দেয়া স্থানে সেবাপ্রার্থদের বসার ব্যবস্থা করে এ গণশুনানি করেন।পাশের ধরিত্রী রড়্গা কর্ণার থেকে সেবার সাথে দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে বীজ ও গাছ। কার্যক্রমের প্রচারণা চললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক সাড়া ফেলে।নেটিজেনরা কেউ সময়োপযোগী পদক্ষেপ, কেউ হয়রানিমুক্ত পদক্ষেপ উল্লেখ করে এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান। কোন চিন্তাধারা থেকে এ কার্যক্রম এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এসিল্যান্ডও জবাবদিহিতার বাহিরে নয়, এ ধারণা থেকেই এ উদ্যোগ। তবে শর্ত থাকে যে সেবাপ্রার্থীকে মধ্যসত্বভোগীর কাছে যাওয়া যাবে না। শুনানিতে মূল কাগজপত্রসহ শুধু এসিল্যান্ডের কাছেই ভূমিমালিক কে আসতে হবে। ভূমি অফিসের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এ দিন অভিযোগ ও আপত্তি শোনা হয়।
 
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সার্ভার জটিলতা ও ভূমি সেবার অনলাইন আবেদন, আবেদনকারীকে নিজে আবেদন করতে উৎসাহী করায় কিছু আবেদনে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এতে সেবা প্রার্থীগণ কাঙ্খিত ভূমি সেবা পেতে বিলম্ব বা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাদেরকে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং যারা দীর্ঘদিন সেবা না পাওয়ার কারণ বুঝতে পারতেছেন না তাদেরকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলা ভূমি অফিস, বোরহানউদ্দিন এর উদ্যোগে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর এর অনস্পট সমাধান প্রদান করা হবে। যারা এ যাবত এ সংক্রান্ত আবেদন করে কাঙ্ক্ষিত সেবা পান নি, তাঁদেরকে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সেবা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই বর্ধিত ঘরে সকল ইউনিয়নের তওশিলদার, অফিস সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতে ৯ ইউনিয়ন ওপৌরসভার সেবা প্রত্যাশিদের অংশগ্রহণে শুনানি চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমধান হচ্ছে।
পৌর এলাকার মোখলেছুর রহমান জানান, ১৯৮৯ সালে দালালের খপ্পরে পড়ে মিথ্যা খতিয়ান পান। যার কারনে নামজারি করতে পারেনি। তাঁকে রেকডরুম থেকে তা সংগ্রহের পরামর্শ দেন। কাচিয়া ইউনিয়নের ইব্রাহিম, কুতুবার মাকসুদুর রহমান, পক্ষিয়ার আব্দুস শহিদ মোল্লা, হাসাননগরের প্রবাসি আকতার হোসেনের স্ত্রী, মাসুম বিল্লাহ জানান, তাঁদের নামজারি তাৎক্ষণিক ভাবে হয়ে গেছে। অতিরিক্ত টাকা লাগেনি। দালালের খপ্পরে পড়তে হয়নি। তাঁরা এ কার্যক্রম চলমান রাখার দাবি জানান।
ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ ও তপন চন্দ্র দে, শ্রীকৃষ্ণ সূতার জানান, এ কার্যক্রম চলমান থাকলে ঘুষ, হয়রানি কমে আসবে। সাধারণ জনগণ সহজেই ভূমি সেবা পাবেন। তবে মিথ্যা ওয়রিশ সনদ বা জাল কাগজপত্র নিয়ে আসায় নেয়া হয়েছে মুচলেকা।
সহকারী কমিশনার ভুমি মো. মেহেদী হাসান জানান, সিস্টেম আপগ্রেডেশনের ফলে সার্ভার জটিলতায় বা অন্য কোন সমস্যার কারণে ইতিপূর্বে যাদের কেস নামন্জুর হয়েছে তাদেরকে আজ ১ দিনে আবেদন করিয়ে দিয়ে নামজারি মন্জুর করা হয়েছে। প্রায় দেড় শতাধিক কেইসের শুনানী করে সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।