অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৫শে মাঘ ১৪৩১


আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙে নেয়ায় মামলা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩১শে জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৫০

remove_red_eye

৪৪

চরফ্যাশন প্রতিনিধি : চরফ্যাশনে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠছে জাহানপুর ইউনিয়নের মো.মামুন হোসেন রাজু ও তার চাচা নাসির মাঝিসহ সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। 
রাতের আধাঁরে ট্রলারযোগে বিক্রির জন্য মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারের মাঝি মো. নুরনবীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।আটককৃত ট্রলার মাঝি নুরনবী ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মজিবল গাজীর ছেলে। 
আশ্রয়নের ঘর ভেঙ্গে মালামাল চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজারীগঞ্জ
ইউনিয়নের তহশিলদার আবুল কাশেম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার রাতে শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে এঘটনা ঘটে।
জানাযায়,শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের গৃহহীন আশ্রিতদের জন্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই ঘর গুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় আশ্রীতরা অন্যত্রে চলে যায়।এসুযোগে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মামুন রাজু ও তার চাচা নাসির মাঝিসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র রাতের আধাঁরে ওই ঘর গুলো ভেঙে লোহার এ্যাংগেল ও টিন বিক্রির জন্য ট্রলারে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা ছাত্রদল নেতা মো. মামুনসহ অপরাপরদের আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ট্রলার ভর্তি লোহার মালামালসহ ওই ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আটক করে থানায় খবর দেন। রাতেই  শশীভূষণ থানা পুলিশ চোরাই মালামাল জব্দ করেন। এবং ট্রলার মাঝি নুরনবীকে আটক করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মামুন জানান, কেবা কাহারা আশ্রয়নের ঘর ভেঙে নিয়ে যায় এমন খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাল গুলো জব্দ করে পাঁচ কপাট বাজারে নিয়ে আসি। চুরির সাথে আমি জড়িত নই। 
শশীভূষণ থানার (ওসি)তারিক হাসান রাসেল জানান, আশ্রয়নের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটককৃত ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশনা শারমীন মিথি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।