অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ই জানুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:১১

remove_red_eye

২৮২

আকবর জুয়েল, লালমোহন : ভোলার লালমোহন উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মো. জাহিদ হাসান খোকন, মো. হোসেন খান এবং মো. রিয়াজ খান লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ করে মো. লোকমান খান জানান, লালমোহন উপজেলার চর লর্ডহার্ডিঞ্জ মৌজার এসএ ২০৬ এবং ৫২ নং খতিয়ানের ৩৭৮, ৩৮১,১৪৭৪, ১৪৭৫/১৪৭৬/১৬১৪ নং দাগের মোট সম্পত্তির ১৩ একর ৪১ শতাংশ। ওই জমির মধ্যে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির পরিমাণ ৫৬ শতাংশ। তবে সেখানের ২৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রয়েছেন স্থানীয় মো. ইউসুফ গংরা। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়। তবে ইউসুফ গংরা শালিস মানছেন না। শালিস না মেনে তারা গত ১লা জানুয়ারি জোরপূর্বক ওই জমিতে পাকা বসতঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। ওই ঘটনার জন্য আমরা লালমোহন থানায় একটি জিডি করলে পুলিশ গিয়ে ইউসুফ গংদের স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংস করতে বলে আসেন। তারই ধারাবাহিতকতায় গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজারে দুই পক্ষ মিলে শালিসে বসা হয়। তবে সেখানে দুইজন শালিস দেরিতে আসায় ইউসুফ গংদের লোকজন তাদের গালিগালাজ করে চলে যায়। একইসঙ্গে তারা জানান- বিরোধীয় ওই জমিতে তারা কাজ চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরো জানান, এ সময় তাদেরকে আমার ভাই মো. খোকন এবং বাবা অলিউল্যাহ খান বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন ইউসুফ গংরা। এরপর মো. ইউসুফ এবং তার ছেলে আব্দুল হান্নান, আব্দুল মান্নানসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার ভাই এবং বাবাকে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে দৌঁড়ে দৌঁড়ে মারধর করতে থাকেন। ওই ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে বিষয়টি থানায় জানাই। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে থানায় এ ঘটনার ফয়সালা হবে বলে জানানো হয়। তবে এরইমধ্যে ইউসুফ গংরা আমাদের জমিতে বালু রেখে জমিতে কাজ করতে শুরু করেন। তখন আমরা জমি থেকে বালু সরাতে বললে তারা গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর রড এবং লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হয় মো. জাহিদ হাসান খোকন, মো. হোসেন খান এবং মো. রিয়াজ খান। পরে তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউসুফের ছেলে আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের জমিতেই আমরা ঘর নির্মাণ করছিলাম। উল্টো তারা আমাদেরই জমিই জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা হামলা চালিয়ে আমাদের ৬ জনকে গুরুতর আহত করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুই পক্ষের লোকজনকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। তারা চাইলে মামলাও করতে পারবেন।