অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফার ধারাবাহিকতায়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে : তোফায়েল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ই জুন ২০২০ সন্ধ্যা ০৭:৫৪

remove_red_eye

১৩৭৫

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ঐতিহাসিক ছয় দফার ধারাবাহিকতায়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সূচনা বিন্দু ছিল ছয় দফা। অর্থাৎ ছয় দফার সাঁকো পেরিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রোববার রাতে ‘৬ দফা থেকে স্বাধীনতা: তরুণদের সাথে রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদদের ওয়েবিনার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের ওয়েব সিবিআর থেকে ইন্টারনেটে সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুভাষ সিংহ রায়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছয় দফা ও ৭ জুন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ছয় দফা ও ৭ জুনের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৬৬-এর এই দিনে মনু মিয়া, মুজিবুল্লাহসহ অসংখ্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন।’
তিনি বলেন, বাংলার গণমানুষ ’৬৬-এর ৭ জুন স্বাধিকার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৬৬ এর ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলসমূহের এক কনভেনশনে বাংলার গণমানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের দাবি সম্বলিত বাঙালির ‘ম্যাগনাকার্টা’ খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা দাবি’ উত্থাপন করে তা বিষয়সূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু সভার সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ‘ছয় দফা দাবি’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে ঢাকা বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ‘ছয় দফা’ দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘৬ দফা না দিলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হত না, আর বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত না করতে পারলে ৭০ এর নির্বাচনে জয়ী হতে পারতাম না।’
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন বলেন, ছয় দফাকে প্রণয়ন করেছেন এ নিয়ে মজাদার গল্প আছে। কেউ কেউ অনেক ইতিহাস রচনা করেছেন, কেউ কেউ বলেছেন সিভিল সার্ভেন্ট লিখেছে, কেউ কেউ বলছেন ওমুক প্রফেসর লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু নিজের জবানে বলেছেন, ‘আমার মাথার কিলবিল, আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানির দেওয়া ভাঙ্গা টাইপ রাইটারে হানিফের টাইপিংয়ে ছয় দফা’। এ সময়ে তিনি ছয় দফাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত অংশ নেন। সূত্র: বাসস





আরও...