অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


আজানের ধ্বনি শুনলেই বন্ধ হয়ে যায় মার্কেটের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩

remove_red_eye

২৭১

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: মসজিদের মাইকে আজানের ধ্বনি শোনার সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে যায় মার্কেটের সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এসময় ব্যবসায়ীরা নামাজের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। একে একে সকল ব্যবসায়ীরা ছুটে যান মসজিদের দিকে। এমন দৃশ্য দেখা যায় চরফ্যাশন উপজেলা সদরসহ কেন্দ্রীয় খাসমহল মসজিদের আশপাশের মার্কেটগুলোয়।  মসজিদের কাছে ফ্যাশন স্কয়ার,কলেজ রোড,সদর রোডে জুতার দোকান ও গার্মেন্টসের দোকান এবং ফলের দোকানসহ কাপড়পট্টি বাকালি দোকান মুদি আড়ত, ওষুধের দোকান মিলে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসায়ীক পয়েন্টে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা হয়ে থাকে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতাধিকের বেশি দোকানী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ করে নামাজের সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাস্টমার আসলেও বেচাকেনা করেন না দোকানিরা।
জানাগেছে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জোহর থেকে এশার নামাজের সময় মার্কেট বন্ধ করে নামাজ পড়ার জন্য বাজারের দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। মসজিদ সংলগ্ন মার্কেটের দোকানিদের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে সম্পূর্ণ সদর রোডের প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দোকানের কর্মচারীদের সাথে নিয়ে চলে আসেন নামাজ আদায় করতে আরও জানা যায়,সদর রোডের অটো,বোরাক হোন্ডা স্ট্যান্ডের ড্রাইভাররাও নামাজের সময় তাদের গাড়ি রেখে মসজিদে চলে যান। চরফ্যাশন বাজারের বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, চরফ্যাশন সদর রোড সংলগ্ন অবস্থিত খাসমহল জামে মসজিদ। তাই আমাদের সমিতিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ আজানের সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মসজিদে গিয়ে নামাজ কায়েম করতে সব মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে আগেও অনেক ব্যবসায়ীরা নামাজ আদায় করতে দোকান বন্ধ রাখতেন। এখন মসজিদ সংলগ্ন দোকানিরাসহ সদর রোডের প্রায় ব্যবসায়ীরাই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নামাজে আসছেন। আবার নামাজ চলাকালীন দোকান সাটারের সামনে দোকান বন্ধ এবং আপনিও নামাজে আসুন এমন সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকে। নামাজের পরে যথারীতি ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করেন ব্যবসায়ীরা।