অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দিনভর গুড়ি বৃষ্টি বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:০৪

remove_red_eye

১৬৯

হাড় কাঁপানো শীতে জন‌জীবন বিপর্যস্ত

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায়  শনিবার পৌষের  দিনভর বৃষ্টিতে খনার বচন ছিল কারো   কারো কাছে আলোচনার বিষয়  ' যদি  বর্ষে পৌষে কড়ি হয় তুষে''  শীতের মধ্যে  শনিবার  ভোররাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি যেমনি হচ্ছিল তেমনি জেলা ব্যাপী ছিল টানা ১৩ ঘন্টার  বিদ্যুৎ না থাকার বিড়ম্বনা। এছাড়াও ভোলায় হাড় কাঁপানো শীত আর বৃষ্টিতে  জন‌জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টায় ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা ও মেঘে আকাশ ঢেকে থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে করে দিনের তাপমাত্রা কমে ঠান্ডার প্রকোপ আরো বেড়ে গিয়েছে। শীতের কারণে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কনকনে শীত আর বৃষ্টির কারনে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে সাধারণ খেটে খাওয়া  মানুষ। আমন ধান কাটা মৌসুমে বৃষ্টিতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে কৃষকের। পাশাপাশি বৃষ্টি স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেলে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এদিকে বৃষ্টিতে মানুষের চলাচল কম থাকায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে অটোরিকশা চালক থেকে যানবাহন শ্রমিকদেরও।

জানা গেছে , সংস্কার কাজের জন্য ভোর ৫ টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে  ওয়েস্ট জোন পাওয়ার  সাপ্লাই ডিস্টিবিউশন কোম্পানি ( ওজোপাডিকো) ও পল্লী বিদ্যুৎ  বিভাগ। ফলে দিনভর জেলার ২০ লাখ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নানাভাবে। 

সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে  আগের  রাত থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।  শীতের মধ্যে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকে।

ভোর রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি।  ভোলার ইলিশা -ঢাকা, ইলিশা-লক্ষ্মীপুর  নৌরুটের ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী লঞ্চ যাত্রীদের  মধ্যে শিশু ও নারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বেশি। ওই ঘাটে যাত্রী ছাউনী নেই,  নেই সেডযুক্ত জেটি।।ফলে বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠতে বা নামতে হয়। অপরদিকে দুপুরের পর থেকে হালকা বাতাসে  শীত পড়তে শুরু করে।  ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ জানান,  দুর্যেগকালীন সময়র বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতি বছর  যন্ত্রপাতি ও সরবরাহ লাইন রক্ষনাবেক্ষণ করতে হয়। শনিবার  ভোর ৫ টায় সকল গ্রাহকের সংযেগ বন্ধ রেখে কাজ শুরু করা হয়।  পোনে ৬ টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।  পল্লী বিদ্যুৎ বি়ভাগের এরিয়া বেশি থাকায়,  কাজ শেষ করতে সময় বেশি লাগে। দিন ভর সরবরাহ না থাকায়  অন-লাইন ভিত্তিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ব্যবসায়িদের।    কম্পিউটার ও গ্রাফিকস ডিজাইন ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন বন্ধ রাখা হয় বলে জানান, আয়েজকরা।  ভোণার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট ও স্পিডবোট ঘাট থেকে  ব্যবসায়ী মনজুর আলম মনজু জানান,  বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে যাত্রী স্ংখা কম ছিল। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বেড় হন নি।  দুপুরে বৃষ্টি একটু কম হলেও বাতাস  বাড়ায় তীব্র কাল শীত পড়তে থাকে।  সব মিলিয়ে দুর্ভোগের সীমা ছিল না।

খনার বচন 'যদি বর্ষে পৌষে কড়ি হয় তুষে'। গ্রামের কৃষকরা সেই দিনক্ষণ হিসেব কষছেন। বৃষ্টির পরিমান বেশি হলে ফসলের কতটা ক্ষতি হতে পারে। ইতিমধ্যে রবিশস্য আসতে শুরু করেছে। নতুন করে বীজ বপন করা হয়েছে কোথাও  কোথাও। ওই সব কৃষক ক্ষতির মুখে  পড়বেন বলে জানান কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা। তাই কৃষকের দু:শ্চিন্তার কমতি ছিল না।  ইটভাটার মালিকারা ছিলেন আতংকগ্রস্ত। কেবল প্রথম দফা পোড়া ইট আসতে শুরু করেছে। এ সময় বেশি বৃষ্টিতে লোকসান গুনতে হবে। ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহাবুবুর রহমান জানান, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা শতভাগ। আকাশে সূর্য না থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমে গিয়ে আগামী কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।





আরও...