অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


সংস্কার শেষে উপযুক্ত পরিবেশে নির্বাচন দিতে হবে: মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:৫১

remove_red_eye

৩২৮

 

 

 

দৌলতখানে জামায়াতের  কর্মী সম্মেলন


 দৌলতখান প্রতিনিধি : প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে উপযুক্ত পরিবেশে দ্রæত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হয়। এই নির্বাচন করতে হলে উপযুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ দরকার। বর্তমানে যে অন্তরবর্তীকালিন সরকার আছে সেই অন্তরবর্তীকালিন সরকার বিভিন্ন ধরণের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল সেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বলতে চাই সংস্কার শেষ করে উপযুক্ত পরিবেশে নির্বাচন  দিতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশে নির্বাচন যদি না হয় তাহলে এই অভ্যুত্থান ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। সেই জন্য সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা চালু করা এবং যারা বাংলাদেশে জুলুম-অত্যাচার করে দেশকে কারাগারে রূপান্তর করেছে তাদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে পরিচ্ছন্ন করে দ্রæত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। একটি নির্বাচনই সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে না। সংস্কারের মাধ্যমে আমরা সেটি প্রত্যাশা করি।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে দৌলতখান টাউন হলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, স্বৈরচারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দেশকে লুটেপুটে খেতে খুন, গুম ও ভয়ের রাজনীতি শুরু করেছিল। সরাসরি গুলি করে আবরার, আবু সাঈদ ও মুগ্ধকে হত্যা করেছিল। দেশবাসীর গত ১৫ বছরের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক পর্যায়ে এসে ছাত্ররা সাহসের সাথে সামনে দাঁড়িয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এর প্রতিবাদ করলো। মনে হয়েছিল সারা বাংলাদেশে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল নাযিল হয়েছিল। আল্লাহ যখন আবাবিল পাঠায় এর সামনে কোনো হস্তিবাহিনী টিকে থাকতে পারে না। শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারে নাই। পালিয়ে গিয়ে সে এখন ভারতে অবস্থান করতেছে। সেখানে থেকে এখন মাঝে মাঝে কুক দেয়। পালিয়ে গিয়ে কুক দেওয়ার মাঝে কি গৌরব আছে? সাহস থাকলে দেশে এসে কতো সাহস আছে দেখান।

মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, বৈষম্য দূর করে দেশে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েম করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা এমন এক সমাজ কায়েমের চেষ্টা করছি যে সমাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও লুটপাটের অস্তিত্ব থাকবে না।

জামায়াতে ইসলামী দৌলতখান উপজেলার আমির মো. হাসান তারেক হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও  সেক্রেটারি মাওলানা আশরাফ উদ্দিন ফারুকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ফখরুদ্দিন খান রাজী, ভোলা জেলার আমীর মাষ্টার জাকির হোসাইন, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. কাজী হারুনুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া, উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ইসমাঈল হোসেন মনির, জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা কর্ম পরিষদ ও শূরা সদস্য  মাওলানা অলিউল্লা কবির, ভোলা পৌরসভা আমির মো. জামাল উদ্দিন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. মাসুদুর রহমান, কামিয়াব প্রকাশনীর এমডি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।