অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় লঞ্চ সি-ট্রাকে যাত্রীর ঢল: করোনা সংক্রমনের আশংকা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা জুন ২০২০ রাত ১২:২৫

remove_red_eye

১৪৮৪

হাসিব রহমান::  স্বাস্থ্য বিধি মেনে শর্ত স্বাপেক্ষে লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও ভোলা থেকে বিভিন্ন নৌ রুটে লঞ্চে তা মানা হচ্ছে না। লঞ্চ চালুর পর থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য যাত্রী নিয়ে হুড়ো হুড়ি চাপাচাপি করে লঞ্চে যাত্রী তোলা হচ্ছে। এতে করে করোনা ভাইরাসের মারাতœক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এসব লঞ্চের বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মঙ্গলবারও এ দৃশ্য দেখা যায় ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে।

সাগর ও নদী বেষ্টি দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে ঢাকা চট্রোগ্রামসহ অন্য জেলায় যাতায়তের প্রধান অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২ মাসের বেশী সময় ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে ফের চলাচল শুরু হয়। বিআইডুব্লিউটিএর মতে, প্রতিদিন ভোলা থেকে ঢাকা,বরিশাল,লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন নৌ রুটে প্রায় অর্ধশত ছোট বড় লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু লঞ্চ চালুর পর থেকে অধিকাংশ রুটেই স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ভোলা-লক্ষèীপুর নৌ রুটে স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই নেই। মঙ্গলবার সকালে ভোলা ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা যায়, এমভি পারিজাত লঞ্চ ও এসটি খিজির-৫ নামক সি ট্রাক ঘাটে আসা মাত্রই হুড়োহুড়ি করে গা ঘেষেই লঞ্চে উঠে। কে কার আগে লঞ্চে উঠবে তার প্রতিযোগীতা। পরিস্থিতি এমন যে পিপিলিকার মতো যাত্রীরা লঞ্চে উঠছে। দেখলে মনে হবে কোথাও যেন তীল ধারনের ঠাই নেই। তার পরও মানুষ উঠছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছাদে পর্যন্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপার করা হয়। অনেকে সিট না পেয়ে লঞ্চের বারান্দায় দাড়িয়ে পর্যন্ত গন্তব্যে যাচ্ছে।  আবার অনেকে লঞ্চে যেতে না পেরে চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করছে। যাত্রীদের অভিযোগ,লঞ্চ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা। ঢাকাগামী লঞ্চ এ্যাডভেঞ্চারে পাশাপাশি সিটে বসে যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়।  আবার অনেক যাত্রীও স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই লঞ্চে চলাচল করছে। এতে করে সচেতন যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে চরম আতংক। এমন চিত্র ভোলা ইলিশা লঞ্চ ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে তারা কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি না মানলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভোলায় বিআউডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমনকি সরকারি নৌ যান সি-ট্রাকে পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে।
যাত্রীরা বলেন,ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকা ও বন্দও নগরী চট্রোগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাওয়া আসে করে। কিন্তু মানুষের তুলনায় লঞ্চ,সি ট্রাক ও ফেরি কম। তাই বাধ্য হয়ে অনেকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। অনেকে লঞ্চ না পেয়ে ট্রালাওে যাচ্ছে। এসময় লঞ্চঘাটের একটি গ্রুপ যাত্রীদেও জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।

তবে  বিআইডব্লিউটিএ এর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো:কামরুজ্জামান জানান, লঞ্চগুলোকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। কেউ তা না মানলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন,যাত্রীদের চাপের কারনে তারা ভোলা খেয়াঘাট থেকে সন্ধ্যার লঞ্চ বেলা ১২ থেকে দের টার মধ্যে ছেড়ে দেন।