অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করছে স্থানীয়রা


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩১শে মে ২০২০ বিকাল ০৪:৫৪

remove_red_eye

৮৬২

মনপুরা প্রতিনিধি:: ভোলার বিচ্ছিন্ন দূর্গম মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আজ অবধি ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে সামনের আমবশ্যার প্রভাবে জোয়ারের পানির তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন ও সোনারচর গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতা ও যুব সমাজের উদ্যোগে পুরান থানা সংলগ্ন পাকা রাস্তার সংযোগ ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার সাথে উত্তর সাকুচিয়া সংযোগ বাঁধ সড়কটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। দ্রুত এই সড়কটির মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন না করলে যেকোন সময়ে ভেঙ্গে মেঘনা তলিয়ে যাবে ও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনগণ এমন দাবী করছেন উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন।

উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের কাশেম, মনির , সুমন, মামুন, রবিউল, আব্বাস, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মোশারেফ, ছলেমান, কবির, নাইম, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রাকিব, সাত্তার, শাহে আলম, বাহাদুর , নাইম, মনপুরা ইউনিয়নের মিজান, শামচু, রতন, সাইফুল, আনোয়ার সহ শতাধিক ব্যক্তি জানান, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ে না করতে পারলে সামনের আমবশ্যার জোয়ারে বাঁধ ভেঙ্গে পুরো উপজেলা প্লাবিত হতে পারে। এতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পনিবন্দি হতে পারে বলে আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।

একইভাবে বলেন হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক। তিনি জানান, তার ইউনিয়নে তিনটি পয়েন্টে বাঁধের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের কাজ না করা হলে পানিবান্দি হতে পারে হাজার হাজার মানুষ।

এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আঃ রহমান বলেন, বাঁধ মেরামতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে । অনেকে জায়গায় বিকল্প বেড়ীবাঁধের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ে বাঁধ নির্মান করা হবে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ মেরামতের জন্য পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও আমবশ্যা আসার পূর্বে বাঁধ মেরামত না করতে পারলে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ে বাঁধ নির্মানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।