অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ভোলায় সাড়ে তিন হাজার গাছ বিতরণ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৯:১৭

remove_red_eye

২৫৪



অচিন্ত্য মজুমদার : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং উপক‚লবাসীকে ঝড়-জলোচ্ছাস ও লবণাক্তা থেকে রক্ষায় দেশের উপক‚লীয় জেলা ভোলায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ৩৭০টি দরিদ্র পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা। সোমবার দুপুরে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে পরিবার উন্নয়ন সংস্থার আর.এইচ.এল প্রকল্পের আওতায় এসব চারা বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে উপক‚লবাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে উপক‚লের মানুষ।

প্রকল্পের সমন্বয়কারী জয়দেব মিস্ত্রি জিনান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বতমানে ঘন ঘন ঝড় জলোচ্ছাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লবণাক্তা থেকে উপক‚লীয় এলাকা বাসীকে রক্ষায় ভোলার সর্ব দক্ষীণের উপজেলা চরফ্যাশনে ৩৭০ পরিবারের মাঝে সাড়ে তিন হাজার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। গ্ৰীণ ক্লাইমেট চেঞ্জ পোগ্ৰামের আওতায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা আর.এইচ.এল প্রকল্পের মাধ্যমে এসব চারা বিতরণ করে। তিনি আরো বলেন, উপক‚লীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হন। এইসব গাছ বাড়ির চারপাশে বাগান গড়ে তুলতে সহায়তা করবে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা দেবে। একই সাথে, উৎপাদিত ফল খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করে উপক‚লবাসীরা আয়ও করতে পারবেন। এসব চারার মধ্যে ছিল নারিকেল, সুপারি, কদবেল, পেয়ারা, সবেদা ও নিম। এ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে দুই হাজারের বেশি পরিবারকে এসব গাছের চারা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

চরফ্যাশনের জাহানপুরের বাসিন্দা উপকারভোগী রানু বেগম, বিবি রোকেয়া ও মারজিয়া আক্তার বলছে, আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় এসব চারা গাছ লাগানোর সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। গাছগুলো বড় হলে আমরা এর ফল খাবো আর বিক্রিও করতে পারবো। এতে আমাদের আয় বাড়বে। পাশাপাশি এই গাছগুলো উপক‚লের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

পরিবার উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, ভোলার উপক‚লীয় উপজেলার জাহানপুর এলাকা দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। যেকোনো ধরনের বন্যা দুর্যোগ সর্বপ্রথম এসব এলাকায় আঘাত হানে। তাই এসব গাছ বন্যা, খড়া ও লবণাক্তার প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে জানান।

অপরদিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, ফলদ ও ঔষধি গাছ আমাদের মানব জীবনের জন্য দরকার। চরফ্যাশনের জাহানপুর একেবারে উপক‚লবর্তী এলাকার উপক‚লবর্তী ইউনিয়ন। এসব গাছ উপক‚লবর্তী মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগের যে ঝুঁকি রয়েছে তা নিরসনের পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাবে বলে মনে করেন তিনি।