অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে বসত বাড়ি ও টয়লেট থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ই নভেম্বর ২০২৪ রাত ১১:০৪

remove_red_eye

২১৯


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৬ নং চরখলিফা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের একটি বসত বাড়ি থেকে ২০ বস্তা ভিজিএফ এর চাল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করে। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায় নি।পরবর্তীতে ওই চাল জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
চরখলিফা ইউনিয়নের বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি চর খলিফা ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের একটি বাড়িতে রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে যখন ওই বাড়ি তল্লাশি করা হয় তখন একটি ঘর থেকে ১০ বস্তা এবং অন্য একটি ঘরের টয়লেট থেকে আরো ১০ বস্তা চাল পাওয়া যায়।পরে দৌলতখান থানার পুলিশ কে বিষয়টি জানালে  পুলিশ এসে ওই চাল উদ্ধার করে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ওই এলাকায় একটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।এমন ঘটনার খবর শুনে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসে সকল বিষয় জেনে উদ্ধারকৃত চাল চর খলিফা ইউপার চেয়ারম্যান মো: শামীম হোসেন অমি চৌধুরীর জিম্মায় রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
দৌলতখান থানার সাব ইন্সপেক্টর জানান,এলাকার লোকজন আমাদের কে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চরখলিফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম হোসেন অমি চৌধুরীর সাথে।তিনি জানান,এ চাল কোথা থেকে সেখানে এসেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।তবে আমার পরিষদে যে পরিমান চাল মজুদ থাকার কথা সে পরিমান চাল মজুদ রয়েছে। এখনো যে সকল ভিজিএফ কার্ডের চাল দেয়া বাকি রয়েছে চালের মজুদের হিসাব অনুযায়ী সকলে চাল পাবে বলে আমি আশা করছি।
এদিকে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়তি রানী কৈরী জানান,এ চাল কিভাবে সেখানে গেলো তা তদন্ত করে দেখান জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের সনাক্তকরে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।