অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ঢাকায় নিখোঁজ ভোলার ব্যবসায়ী সুলতান আহমেদের ৬ দিনেও সন্ধান মেলেনি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ই নভেম্বর ২০২৪ রাত ১০:১০

remove_red_eye

১৮১




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার সার ও সিমেন্টের ডিলার ব্যবসায়ী আহমেদ  ট্রেডার্সের কর্ণধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো: সুলতান আহমেদ  ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার বিকাল পর্যন্ত ৬ দিনেও তার সন্ধান পায় নি স্বজনরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার জানান, সুলতান আহমেদেও স্ত্রী নাছানুর  বেগম ভোলা থানায় একটি জিডি করেছেন। তবে তিনি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। তার মোবাইল ফোন নাম্বার ট্রাকিং করে দেখা যায়, সর্বশেষ অবস্থান ছিল গাজিপুর টঙ্গি এলাকায়। সোমবার রাত ১০ টায় ওই ফোন থেকে বলা হয় তিনি রাজারহাট বি লঞ্চ যোগে ফিরবেন। রাত  পোনে ১১টার পর থেকে ওই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সুলতান আহমেদ ২ নভেম্বর ঢাকায় যান। ৪ নভেম্বর সোমবার  বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৭টায় পীর ইয়ামিনি হোটেল ছাড়েন। এদিকে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে সুলতান আহমেদের স্ত্রী নাছানুর  বেগমকে ফোন করে জানানো হয়, সুলতান আহম্মেদ অচেতন অবস্থায় তাদের কাছে আছেন। এক লাখ টাকা রেডি রাখতে বলেন। এর পর ওই নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়। সুলতান আহম্মেদের স্ত্রী জানান, তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিচ্ছেন। কোন সন্ধান পাচ্ছেন না। লঞ্চের কেবিন আগ থেকে বুকিং না থাকায় তিনি আগে ভাগে হোটেল পীর ইয়ামিনি ত্যাগ করেন, তা সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়। এমন কি রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে ফোন করে জানায় তিনি লঞ্চে ওঠেছেন। তার মোবাইল ফোনের চার্জার হোটেলে রেখে এসেছেন। তাই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। অপরদিকে রাত পোনে ১১ টায় তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার  শ্যালক মিজানুর রহমানকে ফোন করে ব্যবসায়িক কথা বলেন। একই সঙ্গে ক্যাশ টাকা সঙ্গে রাখতে বলেন। প্রয়োজন হবে বলেও জানান। এর পর থেকে যোগাচ্ছে বিচ্ছিন্ন ।  ভোলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর এমন নিখোঁজে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আমানাত ট্রেডাসের মালিকসহ ব্যবসায়ী মহল। তারা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দাবি করেন। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো: হাচনাইন পারভেজ জানান, আমরা ওই ব্যবসায়ীর নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। পুলিশের টিম কাজ করছে। তবে পুলিশের ট্রাকিং লোকেশন ও সুলতান আহমেদের ফোন কলে কথা বলার স্থানসহ বিষয়গুলোর অমিল থাকায় বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন পুলিশ বিভাগ। ওই দিনের ওই সময়ের লঞ্চঘাটের ফুটেজ সংগ্রহকরাসহ এ বিষয়ে ঢাকায় তদন্ত জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে ভোলায় জিডি না করে ঢাকায় করা হলে এর সুফল দ্রæত পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন।





আরও...