লালমোহন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮শে অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৫:৫২
৩২
আকবর জুয়েল, লালমোহন থেকে : অতিনগরায়ণ ও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে দিন দিন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব নানা প্রজাতির পাখি। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও পাখিদের আবাসস্থল বড় গাছ ও বন-জঙ্গল ধ্বংসের ফলেও হারাচ্ছে পাখিরা। এমনি এক পাখি দেশী বক। ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিগত কয়েক বছর আগে সচরাচর এই পাখিটিকে দল বেঁধে বিল ও জলাশয়ের ধারে দেখা গেলেও এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, সহজে যেসব সুন্দর সুন্দর পাখির সন্ধান মেলে তার মধ্যে অন্যতম বক। পানির মধ্যে এক পায়ে নিঃশব্দে-নিশ্চুপে দাাঁড়িয়ে থাকে বক। যা দেখতে দৃষ্টিনন্দন। আমাদের দেশে চার থেকে পাঁচ রকমের বকের দেখা পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ধূসর বক, লালচে বক, সাদা বক, গোবক, কোঁচ বক ও খুন্তে বক উল্লেখযোগ্য।
লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বচরউমেদ এলাকার প্রবীণ কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা আগে ক্ষেতে গেলেই বকের দেখা পেতাম। এই বক আমাদের কৃষকদের জন্য অনেক উপকারি ছিল। কারণ ফসলি জমিতে ক্ষতিকারক পোকা ও ফড়িংসহ অন্যান্য উদ্ভিদ খেতো বক। এতে ফসলের উপকার হতো। তবে এখন আর তেমন দেখা মেলে না এই বকের।
ন্যাচার কনজারভেশন কমিটি (এনসিসি) ভোলার সমন্বয়কারী মো. জসিম জনি জানান, আমাদের গ্রামীণ জীবনে কম-বেশি সবাই বক পাখি দেখে বড় হয়েছে। তবে এখন এই পাখিটি এখন আমাদের কারণেই কমে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে ফাঁদ পেতে শিকারিরা বক ধরছে। এছাড়া পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্য কমে যাওয়ায়ও দিন দিন বিলুপ্তির পথে বক পাখি। এটি রক্ষা করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন জানান, বক পাখি কৃষি ফসলের জন্য খুবই উপকারি। তবে বর্তমান সময়ে এই বক পাখি এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে পতিত জমির অভাব, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ও নিরাপদ আবাসস্থলের সংকট। এসবের কারণেই দিন দিন বিলুপ্তির পথে বক। এখনো কোথাও কোথাও খুব কম পরিমাণে দেখা মেলে বকের। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই নানা সংকটের কারণে এই বক পাখি পুরোপুরি বিলুপ্তি হয়ে যেতে পারে। প্রকৃতি থেকে একটি প্রাণি হারিয়ে যাওয়া মানেই প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। তাই সবাই মিলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারের ফলে অনেক উপকারি পোকা ও প্রাণি মারা যাচ্ছে। এজন্য কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে আমরা কৃষকদের আইপিএম পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।
ভোলা জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সচরাচর বক দেখা না যাওয়ার কারণ হচ্ছে- অতি জনবসতি, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এবং জলাশয় কমে যাওয়া। তবে জনবহুল এলাকায় বক কম দেখা গেলেও চরাঞ্চলে এখনো অনেক বকের দেখা মিলছে। বকসহ অন্যান্য প্রজাতির পাখিরাও কৃষি ফসলের জন্য উপকারি। তাই এসব পাখিদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
বিদায়ী শিক্ষককে মাইক্রোবাসে বাড়ি পৌঁছে দিলেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা
ছাদখোলা বাসে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা, চলছে বিজয় প্যারেড
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার আরো এক মামলা হাইকোর্টে বাতিল
নতুন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন
তারেক রহমান-সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
৭ নভেম্বর ঘিরে ১০ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
ভোলায় বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন
লালমোহনে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
লালমোহনে সংগঠনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে জামায়াতে ইসলামীর সভা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত