অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


সেই সন্তানের নাম রাখা হলো 'আম্ফান!'


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে মে ২০২০ রাত ১১:৪৭

remove_red_eye

৮৬০

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক:: নাম হলো পরিচয় ও নিদর্শন। নামের আরবি হলো ‘ইসম’। ইসম অর্থ চিহ্ন, আলামত, পরিচিতি, লক্ষণ; উন্নয়ন, সম্মান, সুনাম,  খ্যাতি ইত্যাদি। মানুষ দুনিয়ায় আসার পর প্রথম যা লাভ করে তা হলো তার নাম-পরিচয়। মৃত্যুর পরেও মানুষের নাম বেঁচে থাকে। তাই শিশুর সুন্দর নাম তার জন্মগত অধিকার। নাম যেন অর্থবহ হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানের অভিভাবকেরা নাম গ্রহণে সিদ্ধান্ত নেবেন। এটাই শিশুর নামকরণের সর্বোত্তম পদ্ধতি।

তবে এখন অনেকেই এসব নিয়ম কানুন মানেন না।দেখা যায়, কোনো  দূর্যোগের সময় সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সেই দূর্যোগের নামানুসারে রাখা হয় সন্তানের নাম। সম্প্রতি  এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভোলার মনপুরায়।

বুধবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব চলাকালীন সময়ে রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি হয় এক প্রসূতি মা। বৃস্পতিবার ভোর রাতে হাসপাতালে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে ডাক্তার ও নার্সরা খুশিতে ওই জন্ম হওয়া ছেলে সন্তানের নাম দেয় 'আম্ফান'।ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর যতিন গ্রামের বাসিন্দা ছালাউদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া (২৫) বেগম হলেন আম্ফানের মা।

আম্ফান নাম রাখার এ খবরটি মুহুর্তেই ছড়িয়ে  পড়ে।অনেকেই আবার খবরটি স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকে শেয়ার করেন।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের রাতে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় সামিয়া।পরে মনপুরা হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের সেবায় সুস্থ অবস্থায় প্রথম ছেলে সন্তান 'আম্ফান' পৃথিবীতে আসে। সেই খুশিতে ডাক্তার-নার্সরা জন্ম নেওয়া ওই ছেলের নাম দেয় আম্ফান। এখন পর্যন্ত  মা ও সন্তান আম্ফান সুস্থ  আছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ওই প্রসূতি মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে ওই প্রসূতি মা ছেলে সন্তান প্রসব করলে আমরা নাম দেই আম্ফান। মা ও ছেলে সুস্থ আছে। তারা সকালেই বাড়িতে চলে গেছে।