অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় মহাঅষ্টমী আর নবমী তিথিতে মন্ডপগুলোতে উপচে পরা ভিড়


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই অক্টোবর ২০২৪ রাত ০৯:৩১

remove_red_eye

২৪৪

মলয় দে : ঢাক-ঢোল, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে ভোলায় এবছর একই সাথে মহা অষ্টমী ও মহা নবমী পূজার সকল নিয়ম কানুন মেনে দেবী দূর্গার আরাধনা ও পূজা  সম্পন্ন  হয়েছে। এর আগে মহা অষ্টমী ও নবমী পূজা  আলাদা আলাদা দিনে হলেও এবছর হয়েছে তার ব্যতিক্রম। শুক্রবার সকাল ৬.৩০ মিনিটে হয় মহা অষ্টমীর অঞ্জলী আবার সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হয় মহা নবমীর অঞ্জলী।তাই দেবী দূর্গার আরাধনা ও অঞ্জলী নিতে আজ  শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে পূজা মন্ডপগুলোতে ছিলো ভক্তদের উপচে পড়া ভীড়। তারপর যত সময় গড়িয়েছে তার সাথে সাথে বেড়েছে ভক্তের উপস্থিতি। দেবী দূর্গার চরনে ফুল, বেলপাতা অর্পনের মধ্যে দিয়ে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ,অসাম্প্রদায়িকতা,এবং পৃথীবিতে শান্তি স্থাপন ও মঙ্গল কামনা করে ভক্তরা।
দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী ও মহা নবমী এ দুটি দিনই খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহাঅষ্টমীর এই দিনে দেবী দূর্গা মহিষাসুর বধ করে বিজয় লাভ করে। অন্যদিকে নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদলাভ হয়। শাপলা-শালুক ও বলিদান সঙ্গে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে নবমী পূজা পালিত হয়।
সকালে ভোলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মদন মোহন ঠাকুর জিউর মন্দিরে পুরোহিত শেখার চক্রবর্তী পূজা পরিচালনা করেন। এতে শত শত ভক্তরা দেবীদুর্গার চরণে অঞ্জলি দেন। কেউ কেউ দেবীর পদজলে উপবাস ভেঙে প্রার্থনা করেন। এ সময় ভক্তরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যজ্ঞের ফোটা ও আশীর্বাদ নেন।

সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। তাই অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা করার পাশাপাশি ভক্তরা বিশ্ব শান্তি কল্পে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন।

ভক্তদের সমগমের কারনে  কয়েকটি ধাপে অঞ্জলির আয়োজন করা হয় পূজা মন্ডব গুলোতে।বিতরন করা হয় প্রসাদ। এছাড়াও মহা অষ্টমী ও নবমী উপলক্ষে ভোলায় কয়েকটি মন্ডবে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতা।





আরও...