অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনে মাছের পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ই মে ২০২০ রাত ০৮:২৭

remove_red_eye

৬৫৭

চরফ্যাশন প্রতিনিধি:: ভোলার চরফ্যাশনে মাছের পুকুরকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা আসলামপুর ইউনিয়নের খতেজাবাগ গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের অবদুল মন্নান হাওলাদারের ছেলে মো. ইমরান হাওলাদারের উপর একই বাড়ির তার ছোট ভাই মো. সোহাগ হাওলাদার,জাবেদ হাওলাদার ও বড় ভাই মো. রিপনসহ ৭থেকে ৮জন মিলে হামলা করেন বলে জানান চিকিৎসাধীন ওই ভুক্তভোগী।

গতকাল (১৫মে) শুক্রবার সকাল ১০টায় সোইয়াল বাড়ির দক্ষিন পার্শ্বে পুকুরের পাড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘঠনায় অভিযোগকারী ইমরান হাওলাদার বলেন, ভূইয়ারহাট বাজার সংলগ্ন সোইয়াল বাড়ির সংলগ্ন আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির সামনে খাস প্রায় ১৬ শতাংশ জমি ঘিরে পুকুরটি অবস্থিত। আমি ওই পুকুরটি দির্ঘ ১৬ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। এবং ওই পুকুরে মাছ চাষ করছি। তবে পুকুরটির মালিকানা দাবিকারি মো. হারুন হাওলাদারের সাথে পুকুরটি নিয়ে আমার সাথে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার সময় আমি আমার ভোগদখলকৃত ওই পুকুরে মাছের খাবার দিতে গেলে সোহাগ এসে আমাকে ক্ষুব্ধ ভাষায় গালাগাল করে হুমকি দিয়ে বলে “তোকে না এ পুকুরের পাড়ে আসতে না বলছি ? একথা বলেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওঁত পেতে থাকা জাবেদ,রিপনসহ ৭থেকে ৮জন মিলে লোহার রড,দা ছেনি ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে এলোপাথারিভাবে বেধরক মারধর করে। এসময় তারা আমার বাঁ হাত ভেঙ্গে দিয়ে শড়িরের বিভিন্ন স্থানে মারধর ও ফুলা জখম করে। পরে আমার স্বজনরা খবর পেয়ে স্থানিয় প্রতিবেশিরাসহ আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। 

হামলার অভিযোগ অস্বিকার করে সোহাগ বলেন, তার সাথে আমাদের কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি তবে একটু হাতাতি হয়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানিয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উভয় পক্ষের ফয়সালার জন্য জানিয়েছি। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানান, মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।