অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


চরফ্যাশনে মৃত্যুর ৫৫ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭

remove_red_eye

৬০

ইসরাফিল নাঈম, শশীভূষণ : আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ৫৫ দিন পর কবর ওমর ফারুক নামের ১৬ বছরের এক শিশুর শ্রমিকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু ওমর ফারুক। পরে ৬ আগষ্ট তার স্বজনরা গ্রামের বাড়ী ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এনে তাকে দাফন করেন। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের বাবা মিলন ফরাজী বাদী হয়ে ৫৮জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলা দায়েরের পর ময়না তন্তের জন্য নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয় নির্দেশ দেয় আদালত।
 
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ২নং ওয়ার্ডের তার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ওমর ফারুক ওই ইউনিয়নের মিলন ফরাজীর ছেলে তিনি ঢাকায় একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন বলে জানাগেছে।
 
তার পরিবারের স্বজনার জানান, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলকালীন সময়ে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুট ওভার ব্রীজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ওমর ফারুক।
চরফ্যাশন উপজেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত থেকে তার মরদেহ উত্তোলন কারা হয়।
 
সহকারী কমিশনার সালেক মূহিত জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।