অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনের ব্যবসায়ীকে বোরহানউদ্দিন থানার হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই মে ২০২০ সন্ধ্যা ০৭:৩৯

remove_red_eye

১০৪৩

তজুমদ্দিন সংবাদদাতা::  ভোলার তজুমদ্দিনে জমিজমার বিরোধীয় শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীকে অন্য উপজেলায় হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে । এদিকে ওই ব্যবসায়ীর জমি দখল করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং মারপিট করার ঘটনায় মামলা করেও টাকার জোড় ও প্রভাবের কাছে হেরে যেতে বসেছে মানবতা।


সুত্র মতে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের  ৮নং ওয়ার্ডের মাতাব্বরকান্দি গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন কবিরকে উদ্দেশ্যমূলক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বোরহানউদ্দিন থানার একটি হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। ওই মামলার বাদী কহিনুর বেগম তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার মেয়েকে বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চকঢোষ গ্রামের সোহাগ গংরা যৌতুকের দাবীতে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ২৪/০২/২০২০ তারিখে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা রুজু হয়। যার নং ২১। এই মামলার ৬ নং স্বাক্ষী মোতাহার হোসেন পিতা খোরশেদ আলম সাং আড়ালিয়া, ৭ নং ওয়ার্ড, চাঁদপুর, তজুমদ্দিন, ভোলা। যিনি হুমায়ুন কবিরের ভোলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা ৪০/২০১৯ এবং ৫০/২০১৯ নং মামলার ৩ নং আসামী। ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, কহিনুর বেগম ও মোতাহার হোসেন একই বাড়ির বাসিন্দা। যে কারনে অন্য উপজেলার মামলাতে উদ্দেশ্যমূলক জড়ানো হয় হুমায়ুন কবির কে। কহিনুর বেগম বাদী হওয়া মামলার ২ নং স্বাক্ষী মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, মামলার আসামী হওয়ার পর জানতে পারি হুমায়ুন কবিরের বাড়ী তজুমদ্দিন। তাকে আমাদের ভাগনী জামাই আসামী সোহাগের সাথে কখনো দেখিনি। মামলার ৩ নং স্বাক্ষী মোঃ সোহাগ জানান, মামলা লেখার সময় আসামী হুমায়ুন কবির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মোতাহার বলেন তোমাদের জানার দরকার নাই আমি তাকে চিনি। হুমায়ুন কবির জানান, কহিনুর বেগমের মেয়েকে কোথায় কবে বিয়ে দিয়েছে এবং কিভাবে মারা গেছে তা জানা নেই। মামলায় আসামী হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করতে আসলে দুই মাস পরে জানি আমি আসামী। আমার দুটি মামলা ৩ নং আসামী মোতাহারের ভায়রা মোঃ ইয়াসিনের সাথে জমি জমার বিরোধ থাকায় আমাকে উদ্দেশ্যমূলক আসামী করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই স্বপন কুমার হাওলাদার জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হইতেছে। সরেজমিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।