অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভিক্ষার চাল বিক্রি করে ‌'প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা' পেতে ঘুষ!


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ই মে ২০২০ সন্ধ্যা ০৭:৩৫

remove_red_eye

১০৩৬

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : কহিনুর বেগম। ষাটোর্ধ বয়স তাঁর। নিঃসন্তান তার উপরে বিধবা। ভিক্ষে করেই কোনমতে চলে তাঁর জীবন। এমন অসহায় বৃদ্ধা কহিনুর বেগমকেও ভিক্ষার চাল বিক্রি করে নগদ ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য। আর এ টাকা নিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এমবালিয়াতলী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শামীম গাজী।
মঙ্গলবার বিকালে কহিনুর বেগমের বাড়ি উরবুনিয়া গ্রামে গিয়ে তাঁর ঘরের অবস্থা দেখে বোঝা গেছে দরিদ্র সীমার কতটা নীচে তিনি বসবাস করেন। ভাঙ্গা-চোরা টিনের জোড়াতালির কোনরকম একটি খুপরিতে একাই থাকেন হতদরিদ্র অসহায় বৃদ্ধা কহিনুর বেগম। স্বামী রুস্তুম আলীর মৃত্যু হয়েছে আরও বছর তিনেক আগে।
সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগী আরও একাধিক দরিদ্র অসহায় মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু কহিনুর বেগম নয় একই এলাকার আরও অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন ইউপি সদস্য শামীমগাজী ও তার পিতা আ. কাদের গাজী। একই গ্রামের ড্রেজার শ্রমিক আ. সালাম, দিনমজুর বশির আকন, হেলালমিয়া, এবং সেলিনাসহ একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বললে তারাও একই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ সরকার বলেন, এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
তবে এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, হতদরিদ্র কহিনুর বেগমের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাছাড়া গত সোমবার তাঁর কাছে একই এলাকার আব্দুল সালাম নামের একজন ভুক্তভোগী ওই ইউপি সদস্য মো. শামীম গাজী এবং তার পিতা আ. কাদের গাজীর বিরুদ্ধে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে তিনি আরও অনেকের নাম উল্লেখ করেছেন যাদের কাছ থেকেও ওই ইউপি সদস্য ও তার পিতা আ. কাদের গাজী ৫০০ করে টাকা তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান।





আরও...