অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৪

remove_red_eye

২০৯

ইসরাফিল নাঈম, শশীভূষণ : ভোলার চরফ্যাশনে জমিজমা বিরোধ নিয়ে মো. সিরাজ উদ্দিন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চর-যমুনা গ্রামের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত সিরাজের পরিবারের আরও তিন জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দুলারহাট থানা পুলিশ চরফ্যাশন হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত সিরাজ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত জেবল হকের ছেলে।

এঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে দুলারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানাযায়, নিহত সিরাজ উদ্দিন ও আবদুল বারেক তারা একই বাড়িতে বসবাস করেন। উভয় পরিবারের মধ্যে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। এনিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় আবদুল বারেকের পরিবারের সদস্যরা দলবল নিয়ে সিরাজ উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে কাপড় কাটা কেচি ও দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে সিরাজ উদ্দিন ও তার ভাই আবদুল মালেক, মো. বেল্লাল ও মো. রুহুল আমিনকে আহত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজ উদ্দিনসহ অপর আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে মো. হাসনাইন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবদুল বারেকসহ তার পরিবারের সদস্যর আমাদের খরিদা ৮০ শতাংশ  জমি জবর দখল করে ছিলেন। সকালে তারা তাদের ওই খরিদা জমি ছেড়ে দিতে বলেন। এনিয়ে রাতে তাদের সাথে তর্কবাধে ওই তর্কের জের ধরে রাতে আবদুল বারেক তার ছেলে বাবুলসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করেন।
ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর অপর অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আবদুল বারেক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।