অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় ঘাট পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০শে আগস্ট ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬

remove_red_eye

২৭৭

মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরা-তজুমুদ্দিন নৌরুটে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাতে গত ৮ মাস ধরে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহি সি-ট্রাক এসটি শহীদ আবদুর রব সেরানিয়াবাদ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার সাথে জেলার যোগাযোগের একমাত্র নৌরুটিতে সি-ট্রাকটি বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে ট্রলারে যাতায়াত করতো যাত্রীরা।

তবে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, সি-ট্রাক ড্রাইভার ও বিআইডব্লিউটিসি’র কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টেন্ডারে পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস ইয়ানুর এন্টার প্রাইজ সিন্ডিকেট করে সিট্রাকটি বন্ধ রেখে বেশি লাভের আশায় ট্রলারে করে যাত্রী পারাপার করাতো। একই অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনপুরার ছাত্র নেতারা।

এদিকে শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান মনপুরার হাজিরহাট ও রামনেওয়াজ ঘাট পরিদর্শনে আসছেন এমন খবরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি একদিন আগে (বৃহস্পতিবার) তড়িঘড়ি করে ভোলা-মজু চৌধুরী হাট রুটে চলাচলকারী একটি সি-ট্রাক এনে বিকেল থেকে তজুমুদ্দিন-মনপুরা রুটে যাত্রী পারাপার করেন।

জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুই বছরের জন্য মনপুরা-তজুমুদ্দিন নৌরুটে সি-ট্রাকটি চলাচলে মেসার্স ইয়ানুর এন্টাপ্রাইজকে ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিসি।

এদিকে অভিযোগের অস্বীকার করে মনপুরা-তজুমুদ্দিন নৌরুটে সি-ট্রাক ইজারা পাওয়া ইয়ানুর এন্টার প্রাইজের পক্ষে নুরু উদ্দিন জানান, এসটি শহীদ আবদুর রব সেরানিয়াবাদ সি-ট্রাকটি যান্ত্রিকত্রুটি সহ অন্যান্য মেরামতের কাজ নারায়নগঞ্জের বিআইডব্লিউটিসি’র ডকইয়ার্ডে চলছে। সি-ট্রাক মেরামতে কাজ শেষ হলে ফের এই নৌরুটে চলাচল করবে।

এই ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি এর ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, সি-ট্রাক ড্্রাইভার রাব্বি এর ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সি-ট্রাক নৌরুটে চলাচল করবে এই ব্যাপারে জানাতে না পারলেও আগের সি-ট্রাকটি নারায়নগঞ্জ বিআইডবিøটিসি’র ডকইয়ার্ডে মেরামতের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশন ও রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট পরিদর্শনে আসেন বিআইডবিøউটিসি’র চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান। পরে মনপুরা-তজুমুদ্দিন নৌরুটে দ্বীপ উপজেলার যাত্রীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে দ্রæতগামীর একটি সি-ট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচলের দাবী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মোঃ সাঈদুজ্জামান, ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

পরে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান জানান, প্রতিনিয়ত মনপুরা-তজুমুদ্দিন রুটে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাটে একটি অত্যাধুনিক পল্টুন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।