অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৪ই এপ্রিল ২০২৫ | ১লা বৈশাখ ১৪৩২


খালেদা জিয়াকে শিগগির বিদেশে নেওয়া হবে: ফখরুল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ই আগস্ট ২০২৪ বিকাল ০৩:৫৯

remove_red_eye

১২৭

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে শিগগির উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা জানান ।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ফখরুল বলেন, আল্লাহ যদি রহম করেন, তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। ম্যাডামের ( খালেদা জিয়া) জন্য সবাই দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, আমরা ভাসমান অবস্থায় আছি। ভারতে বসে শেখ হাসিনা যেকোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ নিতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের দিয়ে একটা চক্রান্ত করতে চেয়েছিলেন, পারেননি। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করেছে।  

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য, প্রত্যেক এলাকায় শান্তি বিগ্রেড তৈরি করতে হবে। মসজিদ, মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দেবেন। আমাদের নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।  

তিনি বলেন, এক ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি। নব্য ফ্যাসিবাদ যাতে আর আসতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নতুন সরকার। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছু জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের সবাইকে সে পর্যন্ত সবাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

সংঘাত নয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু , অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খাইরুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।