অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় এবার পল্লী চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত: ৫ বাড়ি লক ডাউন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯শে এপ্রিল ২০২০ বিকাল ০৪:৩৩

remove_red_eye

১৭৫২

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক::  ভোলায়  আরো ১ যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্তের বাড়িসহ ওই এলাকার ৫টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।  এ নিয়ে ভোলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো মোট ৫  জন।


সিভিল সার্জন দপ্তরের কন্টোল রুম জানান, আজ বুধবার দুপুরে নমুনা পরীক্ষার ১টি মাত্র রির্পোট পাওয়া যায়। কিন্তু ওই রির্পোটটি পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে মোট ২৩২ জনের রির্পোট পাওয়া গেলো। এদের মধ্যে ৫ জনের রির্পোট পজেটিভ ও বাকীদের নেগেটিভ। এদিকে করোনায় আক্রান্ত যুবকের বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা করা হবে। গত ২৬ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। আক্রান্তের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ও তার ঔষদের ফার্মেসী রয়েছে। তিনি গত ১০ দিন আগে জ্বর, গলা ব্যাথা ও ডায়েরীয়া দেখা দেয়। তার পর তিনি তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জমাদেন। তারা ধারনা করছে, ওই চিকিৎসকের দোকানে বিভিন্ন রোগী দেখতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন।  তার অবস্থা মোটামুটি ভাল।


ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান জানান, পূর্ব ইলিশায় এক যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার বাড়িসহ ওই এলাকার ৫টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।


অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা শহরে আক্রান্ত ২ জন বাবা ও মেয়ের মধ্যে বাবাকে বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্য ও সিভিল সার্জন। এছাড়াও আক্রান্ত  ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের আজ নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল পাঠানো হবে বলে জানান ভোলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী।


এদিকে ভোলা সিভিল সার্জন দপ্তরের কন্ট্রোল রুম আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৫৬০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে মেয়াদ উর্ত্তীন হয়েছে ৮৬২ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৬৯৮ জন। এদিকে আজ বুধবার নতুন আরো ২৫টি নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঠানো হলো ৩৬৩ জন।