অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানের নেয়ামতপুর চরে নেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ০৯:০৭

remove_red_eye

৩৩৩

দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলার নেয়ামতপুর চর। এক সময় এটি দৌলতখান উপজেলার একটি ইউনিয়ন ছিলো। নদীর ভাঙনে  এই ইউনিয়নটি বিলুপ্ত হয়ে যায় ১৯৭০ সালে। তারপর  মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায় চরটি। ২৮ বছর আগে চরটি জেগে উঠে। বর্তমানে এখানে ৩ হাজার মানুষের বসবাস।
এ চরে এখানও কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। এ কারণে শিক্ষার আলো পৌঁছায় না ওই চরের বাসিন্দাদের ঘরে। যে বয়সে শিশুদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে এখানকার শিশুরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
যাদের পেশা কৃষি, জেলে বা দিন মজুর। ওই সব পরিবারের শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। সেখানে নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ কারণে শিশুরা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না। তারা স্কুলে না গিয়ে নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,এই চরটিতে মানুষ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চরের মানুষ। ২৮ বছর ধরে চরে বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। বেশির ভাগ মানুষ অক্ষরজ্ঞান শূন্য। এ ছাড়া উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
চরের শিশু রাকিব  জানায়, তাদের পড়ালেখার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় না থাকায় তারা পড়ালেখা করতে পারছে না। এখানে বিদ্যালয় থাকলে তারা পড়ালেখার সুযোগ পেত।
চরের বাসিন্দা কামাল বলেন, ‘চরের ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। এখানে কোনো বিদ্যালয় নেই। তাই আমাদের শিশুরা পড়াশোনা করতে পারছে না।’ তিনি সরকারি একটি বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান।
দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়বিহীন যেসব চর রয়েছে, সেখানে বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। আমরা খুব দ্রুত চর নেয়ামতপুর পরিদর্শন করে সেখানে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’