অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


অবশেষে লামোহনের সেই প্রভাশালী চাল ব্যবসায়ীর শেষ রক্ষা হলো না: থানায় মামলা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ই এপ্রিল ২০২০ রাত ১১:৪৪

remove_red_eye

৫১০



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার  লালমোহন উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথমে ৪০ মেট্রিক টন চাল বস্তা বদল করে পাল্টানো ও সরকারি চালের খালি বস্তা রাখার দায়ে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে গেলেও  শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে তার বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা হয়েছে। তবে তিনি বুধবার এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এখনো গ্রেফতার হননি।
 অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের গোডাউনে পুলিশের অভিযানের পর তাকে বাঁচানোর চেষ্ট চলে। এমনকি ঘটনাটি যাতে প্রচার না হয় তার জন্য চেষ্টা করা হয়। ভয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করে। প্রভাবশালীর ভয়ে পেশাদার সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশন তো দূরের কথা তথ্য দিতেও অপারোগতা প্রকাশ করেন । কারন এই সংবাদ প্রকাশ করলে তারা বিপাকে পড়ার আতংকে রয়েছে। পরে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযানের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
 
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, মঙ্গলবার বিকালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে  খবর পেয়ে লালমোহন উপজেলার ওয়াষ্টেন পাড়া এলাকায় বিআরডিবির ভাড়া দেওয়া একটি গোডাউনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। স্থানীয়রা জানান, ওই গোডাউনের মালিক চাল ব্যবসায়ী প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা জসিমের। পুলিশ জানায় তারা গিয়ে দেখতে পান, ওই গুদামে  কুয়াকাটা থেকে আনা একটি দিস মিলের চালের প্যাকেট থেকে নুরজাহান নামের একটি চালের বোস্তায় বদলানো হচ্ছিলো। এছাড়াও ওই গোডাউনে সরকারি খাদ্য বিভাগের ভিজিডির খালি ২৫টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চালের বস্তা পাল্টানোর  অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০ হাজার টাকা ও   সরকারি খাদ্য বিভাগের ভিজিডির খালি ২৫টি বস্তা পাওয়ায় গোডাউনে থাকায় সরকারি আদেশ অমান্য করায় আরো ৫ শত টকাসহ মোট ২০ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি।
এদিকে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রু কবির বুধবার বিকালে জানান,রাতে ৯টা ৩৫ মিনিটে কালো বাজারি ও জমুদ করা ও সরকারি ২২ বস্তা চাল পাওয়ার অপরাধে ওই গোডাউনের মালিক জসিম উদ্দিনকে আসামী করে লালমোহন খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে জসিম এখনো গ্রেফতার হয়নি।