অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:২২

remove_red_eye

৪৩৩

শশীভূষণ প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসনে আসমা বেগম (২৬) নামের এক তিন সন্তানের জননী গৃহবধুকে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকালে আসমা বেগমকে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে দেন স্বামী আজাদ মাঝিসহ তার পরিবারের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় গৃহবধুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেওয়া হয়। রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধু মারা গেলে স্ত্রী মরদেহ হাসপাতালে বেডে রেখে পালিয়ে যান স্বামী আজাদ মাঝি। পরে রাতেই শশীভূষণ থানা পুলিশ নিহত ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ওমরাবাজ গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডে স্বামী  আজাদ হোসেন মাঝির বসত বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধু শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের আবদুর রশিদ ঢ়ারির মেয়ে।
নিহতের বৃদ্ধ মা জাহানারা বেগম বলেন, ১২ বছর আগে আজাদ মাঝির সাথে পারিবারিক ভাবে মেয়ে আসমার বিয়ে হয়। আসমা-আজাদ দম্পতির ঘরে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তৃতীয় কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আজাদ নানা অজুহাতে আসমাকে প্রায়ই মারধর করত। মঙ্গলবার বিকেলে পানি পানের পাত্র পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় মেয়েকে মারধর করা হয়। রাতে আজাদ ফোন করে জানান, আসমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে আসমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, আজাদ তার বোনকে প্রায় সময় মারধর করতো এবং টাকা চাইতেন। তিনি দিনমজুরী কাজ করে সাদ্যমতো টাকা দিতেন বোনের স্বামীর হাতে। গতকাল মঙ্গলবার বোন জামাতা আজাদ আসমাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেন। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত ৮টায় বোন আসমা মারা গেলে তার মরদেহ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে খবর পেয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ বোনের লাশ থানায় নিয়ে যান।
গৃহবধুর শিশু কন্যা সামিয়া জানান, বাবা তার মাকে লাঠি দিয়া পিটাইছে। পরে মা ঘুমাইয়া গেছে। মাকে ডাকছি মা উঠেনায়।
ঘটনার পরপরই স্বামী আজাদ মাঝিসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি এম.এনামূল হক জানান, বিষক্রিয়ার তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।