অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে ইটভাটা শ্রমিককে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ০৯:৩৬

remove_red_eye

২৬২

 
 
শশীভূষণ প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মনির হোসেন (২৫) নামের এক ইটভাটা শ্রমিককে তুলে নিয়ে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাটার অপর শ্রমিক শামিমসহ তার ভাই আলাউদ্দিন, ভাই ফারুক ও বাবা সালেক মাঝিসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শশীভূষণ থানার চর কলমী ইউনিয়নের চর মায়া গ্রামের শানিমা ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে।
 
খবর পেয়ে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে ইটভাটা মালিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
 
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির হোসেন জানান, তিনি চর মায়া গ্রামের শানিমা ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ওই ভাটায় শামিম নামের অপর এক শ্রমিক তার সাথেই কাজ করেন। শনিবার বিকালে কাঁচা ইটবাহী ভ্যান সরানো নিয়ে তার সাথে শ্রমিক শামিমের কথার কাটাকাটি হয়। এসময় ভাটা মালিক পক্ষের লোকজন তৎক্ষনিক বিষয়টি সমোঝতা করে দেন। শনিবার রাত ৮ টায় তিনি কাজ শেষে ইটভাটা সংলগ্ন ফখরুল ইসলামের দোকানে চা থেকে গেলে শামিমসহ তার ভাই আলাউদ্দিন, ফারুক ও বাবা সালেক মাঝি চা দোকান থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সড়কে ফেলে অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করেন। পরে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গিয়ে হামলার শিকার হন চা দোকানী ফখরুল ইসলাম , শ্রমিক সরদার জাহাঙ্গীর ও আলামিন নামের তিনজন।
 
তাদের ডাক চিৎকারে অপর শ্রমিক ও পথচারীরা ছুটে এসে তাকে হামলাকালীদের কবল থেকে রক্ষা করেন। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে সংঙ্গাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসনে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
 
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শামিমসহ তার পরিবারের সদস্যরা গাঁ ঢাকা দেয়ায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
 
শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামূল হক জানান, শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।