অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার কন্দকপুর গ্রামে সেতু নির্মান হলেও নেই এপ্রোচ সড়ক,মানুষের দুর্ভোগ চরমে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩রা নভেম্বর ২০১৯ রাত ১১:২৯

remove_red_eye

৮৮৪

 

আকতারুল ইসলাম আকাশ :ভোলার রাজাপুর ইইনয়নের কন্দকপুর গ্রামে প্রায় ১ বছর আগে একটি সেতু নির্মান করা হয়। কিন্তু এপ্রোচ সড়ক নির্মান না করায় ওই সেতুটি এলাকার মানুষ ব্যবহার করতে পারছেনা। ফলে গ্রামের মানুষকে এখন প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এদিকে সদর উপজেলার রাজাপুরের কন্দকপুর গ্রাম থেকে রাজাপুর-জনতা বাজারের পাকা সড়কে উঠার সংযোগ সড়কটি হলো ওই গ্রামের দেলোয়ার সিকদার (দেলু সিকদার) বাড়ি থেকে এছাহাক আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এই মাটির সড়ক। এই সড়ক দিয়েই কন্দকপুর গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে আশপাশের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য কাঁচা সড়কে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ত্রান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যায়ে ওই সেতুটি নির্মান করা হয়। কিন্তু সেতু নির্মাণের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
কন্দকপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ আলী বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে কয়েকবার অবগত করলেও এই সংযোগ সড়কের সেতুটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই গ্রামের মানুষ প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে সদর উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানা ধরণের দুর্ভোগে পড়েছি। সড়কে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর ইসলাম জানান, এই বিষয়ে আমার জানা নেই। সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে অতি দ্রæতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, শুধু এই ব্রিজটি নয়, আরো কয়েকটি ব্রিজ রয়েছে, ঠিক এমনই। ত্রান মন্ত্রণালয়ের অনেক ব্রিজেরই সংযোগ সড়ক নেই। বাজেট বরাদ্দ হলেই মাটি ভরাট করা হবে।