অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


জুমার দিন যে আমলে উট কোরবানির সওয়াব


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই জানুয়ারী ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:০২

remove_red_eye

২৯৮

জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার আজান হয়ে যাওয়ার পর দুনিয়াবি সব কাজকর্ম বাদ দিয়ে মসজিদে চলে যাওয়া ওয়াজিব। কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন জুমার নামাজের জন্য ডাকা হলে অর্থাৎ জুমার আজান হয়ে গেলে সব দুনিয়াবি ব্যস্ততা, বেচাকেনা, লেনদেন বাদ দিয়ে দ্রুত আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে। আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ

হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯)

জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত এসেছে হাদিসেও। একটি হাদিসে জুমার নামাজে দ্রুত উপস্থিত হওয়ার ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো ভালোভাবে গোসল করে এবং মসজিদে প্রথম পর্যায়ে উপস্থিত হয় সে একটি মোটাতাজা উট কোরবানির সমান সওয়াব পায়। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগমণকারীদের নামে সওয়াব লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যাক্তির মতো যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে আসে সে ওই ব্যাক্তির মতো যে একটি গাভী কোরবানি করে। পরের পর্যায়ে যে আসে সে মেষ কোরবানিদাতার মতো। তারপরের পর্যায়ে আগমণকারী মুরগি দানকারীর মতো। তারপরের পর্যায়ে আগমণকারী একটি ডিম দানকারীর মতো। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতারা তাদের খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগের সাথে খুতবা শুনতে থাকেন। (সহিহ বুখারি: ৯২৯)

সুত্র জাগো